প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন। সোমবার ঠিক রাত ৮ টায়। অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে তামাম ভারতবাসী। এর ঠিক আধঘণ্টা আগে হোয়াইট হাউসে ‘প্রেস ব্রিফ’ করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেখানে আচমকা টেনে আনলেন ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ বিরতির প্রসঙ্গ। স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, ভারত বা পাকিস্তানের সংঘাত বন্ধের পিছনে রয়েছে আমেরিকারই হাত। দুই দেশের রাষ্ট্রনেতাদের কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, যুদ্ধ বন্ধ না হলে আপনাদের সঙ্গে আমরা আর বাণিজ্য করব না। তাতেই কাজ হয়। সোমবার হোয়াইট হাউসে তিনি সাংবাদিকদের এমনটি জানান। তিনি একটি সাংবাদিক বৈঠকে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি ভারত ও পাকিস্তানের সংঘর্ষ বন্ধ করেছি।’ ব্যবসা বন্ধ করার হুমকি দিতেই দুই দেশের মধ্যে কার্যত ‘পরমাণু যুদ্ধ’ বন্ধ হয়েছে। সাংবাদিক বৈঠকে ট্রাম্প বলেন, ট্রাম্প বলেন, তিনি বাণিজ্য ও শুল্কের মাধ্যমে এই সংঘাত নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। ‘আমি বলেছিলাম, তোমাদের সঙ্গে আমরা অনেক ব্যবসা করব। চলো (লড়াই) বন্ধ করি। যদি তোমরা বন্ধ করো, আমরা ব্যবসা করব। অন্যথায় আমরা তোমাদের সঙ্গে কোনো ব্যবসা করব না। ’ মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, তখন তারা থামতে রাজি হলো। তারা বিভিন্ন কারণে থেমে গিয়েছিল। তবে বাণিজ্য ছিল একটি বড় কারণ। ‘আমরা ভারত ও পাকিস্তানের সঙ্গে অনেক পরিমাণে বাণিজ্য করব। আমরা ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য (ও শুল্ক) নিয়ে আলোচনা করছি। পাকিস্তানের সাথেও শিগগিরই আলোচনা করব। ’ ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা পারমাণবিক যুদ্ধ বন্ধ করিয়েছি। এটি একটি ভয়াবহ পারমাণবিক যুদ্ধ হতে পারত। যাতে লাখ লাখ মানুষ মারা যেত। আমি এতে খুবই গর্বিত যে আমেরিকা যুদ্ধ বন্ধ করেছে। ’’ উল্লেখ্য, গত শনিবার ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষবিরতির কথা গোটা বিশ্বকে প্রথম জানান ট্রাম্প। এমনকী, দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষবিরতির জন্য তিনিই অন্যতম মধ্যস্থকারী ছিলেন বলেও জাহির করেন ট্রাম্প। এ দিন সেই কথা মনে করিয়ে দিয়ে ট্রাম্প ফের বলেন, ‘শনিবার আমার প্রশাসন ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষবিরতির জন্য সাহায্য করেছে। দুই পরমাণু শক্তিধর দেশেরই বিপজ্জনক সংঘর্ষ আটকানো হয়েছে।’
