সুপ্রিম কোর্টের তরফ থেকে আবাসন ও নগর বিষয়ক মন্ত্রককে নয়াদিল্লির ৫ নম্বর কৃষ্ণ মেনন মার্গের বাংলোটি নিয়ে চিঠি লেখা হয় সম্প্রতি। প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় আপাতত সেই বাড়িতে থাকলেও সেই বাংলো আদতে বরাদ্দ দেশের প্রধান বিচারপতির জন্য। এই আবহে অবিলম্বে ডিওয়াই চন্দ্রচূড় যেন বাংলোটি খালি করে, তার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে চিঠি লেখে সুপ্রিমকোর্ট। প্রধান বিচারপতি হিসেবে কারও কার্যকাল শেষ হওয়ার পরপরই কি তাঁকে সেই বাংলো খালি করতে হয়? উল্লেখ্য, কোনও প্রধান বিচারপতির কার্যকাল শেষ হওয়ার পরে সংশ্লিষ্ট বিচারপতি সপ্তম শ্রেণির বাংলো ধরে রাখতে পারেন মাত্র ৬ মাসের জন্য। তারপর তাঁকে সেই বাংলো বা বাসভবন ছেড়ে দিতেই হয়। সরকারকে লেখা সুপ্রিম কোর্টের চিঠিতে লেখা হয়েছে, ডঃ বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়কে অনতিবিলম্বে ৫ নম্বর বাংলো থেকে খালি করা হোক। ২০২৫ সালের ২১ মে এই বাংলোয় থাকার অনুমতির মেয়াদ শেষ হয়েছে। এছাড়াও, ২০২২ বিধিমালার বিধি ৩বি-এর অধীনে ছয় মাসের সময়সীমা ১০ মে, ২০২৫-এ শেষ হয়েছে। আবাসন ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রকের সচিবকে সুপ্রিম কোর্টের এক আধিকারিকের পাঠানো চিঠিটি হিন্দুস্তান টাইমস দেখেছে। বিচারপতি চন্দ্রচূড় ২০২২ সালের নভেম্বর থেকে ২০২৪ সালের নভেম্বর পর্যন্ত ভারতের ৫০তম প্রধান বিচারপতি ছিলেন। মেয়াদ শেষ হওয়ার প্রায় আট মাস পেরিয়ে গেলেও তিনি এখনও টাইপ এইট বাংলোয় বসবাস করছেন। একই সময়ে, তাঁর পরে প্রধান বিচারপতি হওয়া বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বর্তমান প্রধান বিচারপতি ভূষণ আর গাভাই প্রধান বিচারপতির সরকারি বাসভবনে যাননি। দু’জনেই তাঁদের পূর্বের বরাদ্দকৃত বাংলোতে বসবাস করতে থাকেন। হিন্দুস্তান টাইমসের তরফে বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ব্যক্তিগত পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করেন। তিনি আরও বলেন, সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন এ বিষয়ে সম্পূর্ণ সচেতন। তিনি স্পষ্ট করে বলেন যে সরকার ইতিমধ্যে সীমিত সময়ের জন্য তাঁকে ভাড়ায় বিকল্প বাসস্থান বরাদ্দ করেছে। কিন্তু দীর্ঘদিন ব্যবহার না হওয়ায় এই জায়গাটি বসবাসের অনুপযোগী।
