জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক একজন প্রভাবশালী । বর্তমানে ক্ষমতায় না-থেকেও তিনি ক্ষমতাসীন । তিনি জামিন পেলে তদন্তে প্রভাব খাটাতে পারেন । রেশন দুর্নীতিতে বন্দি প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রয় মল্লিকের জামিন আটকাতে এমনই দাবি করল ইডি ৷ তাদের দাবি, কিং না-হলেও জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকই রেশন দুর্নীতির কিংমেকার । আজ বিচার ভবনে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের জামিন আটকাতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা বলেন, “তিনি কিং নন । কিন্তু কিংমেকার বটে । রাজ্যের রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে যাঁরা গ্রেফতার হয়েছেন, তাঁরা প্রত্যেকেই রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের দিকে আঙুল তুলেছেন । ফলে একপ্রকার বোঝাই যাচ্ছে যে রাজ্যে রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের অত্যন্ত বড় ভূমিকা ছিল । সেই সময় তিনি খাদ্যমন্ত্রী ছিলেন । ফলে তিনি যদি জামিন পান, সে ক্ষেত্রে তদন্ত প্রভাবিত করতে পারেন । এছাড়াও তিনি যথেষ্ট প্রভাবশালী ।” এই বিষয়ে বিচারক প্রশ্ন তোলেন, “উনি তো এখন আর মন্ত্রী পদে নেই । তা হলে কী করে এত প্রভাব খাটাবেন ?” এর উত্তরে ইডি বলে, “কেউ কিং হন, কেউ কিংমেকার । এমনও মামলা রয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে যেখানে অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে না । কিংমেকাররা আসলে এতটাই ক্ষমতাশালী । জ্যোতিপ্রিয় জামিন পেলে পুরো মামলাটিকে প্রভাবিত করতে পারেন ।” জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক অত্যন্ত প্রভাবশালী, এই দাবির সপক্ষে সওয়াল করতে গিয়ে আজ তাঁর হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রসঙ্গ তুলে ধরে ইডি ৷ বলা হয়, প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক যখন গ্রেফতার হন, ঠিক তার পরপর তিনি এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি হয়ে গিয়েছিলেন । এই এসএসকেএম হাসপাতালে তিনি চিকিৎসাধীন থাকাকালীন একটি চিরকুট উদ্ধার হয় । সেটি থেকে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যায় বলে দাবি করে ইডি । ইডির তরফে দাবি করা হয়, সংশ্লিষ্ট চিরকুটে কোটি কোটি টাকার লেনদেনের হিসেব মিলেছিল । এই মামলায় পরবর্তী শুনানি রয়েছে আগামী ২১ ডিসেম্বর ।