বিহার বিধানসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন ৷ সোমবার মুখ্য নির্বাচনী কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার, নির্বাচনী কমিশনার সুখবীর সিং সানধু এবং নির্বাচনী কমিশনার বিবেক জোশী বিহার ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করেন ৷ ২৮ অক্টোবর ছট পুজো ৷ তার পরপরই ভোট ৷ সারা দেশে এসআইআর প্রক্রিয়া হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্য নির্বাচনী কমিশনার ৷ রাজ্যে ভোট হবে দুই দফায়- ৬ ও ১১ নভেম্বর ৷ প্রথম দফায় ১২১টি আসনে এবং দ্বিতীয় দফায় ১২২টি আসনে ভোট হবে ৷ ভোটগণনা ১৪ নভেম্বর ৷ বিহারের ২৪৩টি আসনের মধ্যে ২০৩টি সাধারণ ৷ ২ তফশিলি উপজাতি এবং ৩৮ তফশিলি জাতির জন্য সংরক্ষিত ৷ মোট ভোটারের সংখ্যা ৭.৪৩ কোটি ৷ তার মধ্যে পুরুষ 3.92 কোটি, মহিলা ৩.৫০ কোটি ৷ একশো বছর বয়সি ভোটারের সংখ্যা প্রায় ১৪ হাজার এবং নয়া ভোটার ১৪ লক্ষ ৷ প্রতিটি বুথে ১ হাজার ২০০ জন ভোটার ভোট দিতে পারবেন ৷ সেই হিসেবে ৯০ হাজার ৭১২ টি ভোটার কেন্দ্রের ব্যবস্থা করা হয়েছে ৷ প্রতিটি বুথে ওয়েব কাস্টিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে ৷ এর মধ্যে বিহারে ২৫০টি বুথ এমন যে, সেখানে ঘোড়ায় চড়ে নজরদারি চালানো হবে ৷ এছাড়া ১৯৭টি বুথে ভোট পরিচালনা করতে নৌকায় চড়ে যেতে হবে ৷ এই নির্বাচন প্রক্রিয়ায় ১৭টি নতুন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে ৷ পরে বাংলা-সহ সারা দেশে সেগুলি কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক ৷ এই প্রথম বার নির্বাচন কমিশনের ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে বুথ স্তরের এজেন্টদের (বিএলএ) প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে ৷ বুথ স্তরের আধিকারিকরা (বিএলও) নয়াদিল্লির আইআইআইডিইএম-এ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে ৷ বিহার পুলিশ প্রশাসনের এবং সিএপিএফ-এর মধ্যে সমন্বয় রক্ষা করার জন্য তাঁদেরও এই প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষণ হয়েছে ৷ দীর্ঘ ২২ বছর পর গত ২৪ জুন বিহারে স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন (এসআইআর) হয়েছে ৷ ভোটার তালিকায় বিশেষ সংশোধন শেষে গত ৩ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশিত হয়েছে ৷নির্বাচন আয়োজনের নিয়ামক সংস্থার শীর্ষ কর্তা জানান, ভোটারদের চূড়ান্ত তালিকা সব রাজনৈতিক দলকে দেওয়া হয়েছে ৷ এর মধ্যে কারও যদি মনে হয় তাঁর নাম ভোটার তালিকা থেকে ভুলবশত বাদ পড়েছে, তিনি মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার ১০ দিন আগে কমিশনের কাছে আবেদন জানাতে পারেন ৷ এছাড়া ইআরও (ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার) কোনও ভুল হয়ে থাকলে তার জন্যও আবেদন করা যেতে পারে ৷ভোট সংক্রান্ত সব ক’টি অ্যাপ নিয়ে ECINetApp চালু করা হচ্ছে ৷ এখানে ভোটের বিষয়ে যাবতীয় আপডেট পাওয়া যাবে ৷ এই অ্যাপের মধ্যে ভিএইচএ, কেওয়াইসি, ইসিআইভিজিল অ্যাপগুলিও থাকবে ৷ইভিএম-এ প্রার্থীর রঙিন ছবি ছাপা হবে ৷ পাশাপাশি ছবিটির সাইজ বড় করা হয়েছে ৷ ভোটারদের চোখে সহজে পড়ার জন্য সিরিয়াল নম্বর আরও বড় হরফের করা হবে ৷ প্রতি বার ভোট পর্ব শুরুর আগে ইভিএম-এ মক পোল করা হয় ৷ এই সময় অনেক ক্ষেত্রে মক পোলের গণনা ইভিএম থেকে মোছার কথাটি ভুলে যান সংশ্লিষ্ট আধিকারিকরা ৷ সেক্ষেত্রে বিশেষ ব্য়বস্থা নিয়েছে কমিশন ৷ এক্ষেত্রে ১৭সি ও ইভিএম-এর হিসাবে গড়মিল দেখা দিলে ফের গণনা করা হবে ৷ ইভিএম-এর শেষ ২ রাউন্ডের গণনার আগে পোস্টাল ব্যালটের গণনা শেষ করতেই হবে ৷ নির্বাচন শেষ হওয়ার কয়েক দিন পর নির্বাচন কমিশনের ECINetApp-অ্যাপে ডিজিটাল ইনডেক্স কার্ডস এবং রিপোর্ট পাওয়া যাবে ৷ সেখানে ভোটের ব্যাপারে তথ্য দেওয়া থাকবে ৷


