একটানা বৃষ্টির জেরে উত্তর সিকিমের লাচেনে লোনাক হ্রদ উপচে পড়ায় তিস্তায় হড়পা বান। নিখোঁজ অন্তত ২৩ জন জওয়ান। নিখোঁজের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত ভারতীয় সেনার একাধিক সেনা ছাউনি। চুংথাম বাঁধের জল ছাড়ায় আচমকাই তিস্তার জলস্তর ২০ ফুট বৃদ্ধি পায়। সেনার তরফে জানানো হয়েছে, বুধবার সিংতামে সেনার ছাউনিতে জল প্রবেশ করে। তিস্তা নদীর জলে তলিয়ে যায় সেনাবাহিনীর ৪১টি গাড়ি। নিখোঁজ অন্তত ২৩ জন জওয়ান। জানা গেছে সিংতামের কাছে বারদাংয়ে সেনা ছাউনিটি ছিল। শুরু হয়েছে তল্লাশি। এর মধ্যে আবার ধসও নামতে শুরু করেছে। একটি সেতুও জলের তোড়ে ভেঙে গিয়েছে বলে জানা গেছে।
সিকিমের চুংথাম মূল ভূখণ্ড থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। পাহাড়ি সিকিমে রীতিমতো ধ্বংসলীলা চালাচ্ছে তিস্তা। চিন্তার ভাঁজ সমতলেও। তিস্তায় হলুদ সতর্কতা জারি করেছে প্রশাসন। এদিকে, তিস্তার জলস্তর বৃদ্ধির প্রভাব পড়তে শুরু করেছে তিস্তার উপর তৈরি একাধিক ব্যারেজে। তিস্তার গতিপথের দু’পাশে রয়েছে গাজলডোবা ব্যারেজ, দোমহনি, মেখলিগঞ্জ, হলদিবাড়ি, জলপাইগুড়ি শহর। তিস্তার জলস্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় ওই সমস্ত এলাকা প্লাবিত হতে পারে। বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ এলাকাও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।