দেশ

পদকজয়ীদের থেকে প্রধানমন্ত্রীর ছবির আকার বড়, সমালোচনায় সরব ক্রীড়ামহল, মোদি ট্রোলড় নেটদুনিয়ায়!

 অলিম্পিকসে পদকজয়ীদের সংবর্ধনা মঞ্চ ৷ সেই মঞ্চে আলো করে রয়েছেন পদকজয়ীরা ৷ কিন্তু, চোখ আটকে যায় পিছনের পোস্টারে ৷ সেখানে পদকজয়ী অ্যাথলিটদের পাশাপাশি রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর ছবি ৷ অ্যাথলিটদের ছবির আকার গোটা পোস্টারের ১/৪ অংশ হলে প্রধানমন্ত্রীর ছবির আকার ১/৩ অংশ ৷ এখানেই বিতর্কের সূত্রপাত ৷ বিরোধীদের প্রশ্ন, যাঁদের সংবর্ধনা তাঁদের খাটো করে শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রীর প্রচার করাই কি উদ্যোক্তাদের মূল উদ্দেশ্য ? দিনকয়েক আগে রাজীব গান্ধি খেলরত্নের নাম পরিবর্তন করে মেজর ধ্যানচাঁদ খেলরত্ন করে কেন্দ্রীয় সরকার ৷ তৈরি হয় বিতর্ক ৷ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েও বিরোধীদের তরফে দাবি তোলা হয়, নরেন্দ্র মোদি ও অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামের নাম পরিবর্তন করার ৷ এরপর অ্যাথলিটদের সংবর্ধনা বিতর্ক সেই আগুনেই ঘি ঢালল ৷ এর আগে ভ্যাকসিনের শংসাপত্রে প্রধানমন্ত্রীর ছবি ঘিরেও বিতর্ক হয় ৷ প্রশ্ন ওঠে মীরাবাঈ চানুর সংবর্ধনা ঘিরেও ৷ একই চিত্র দেখা যায় অলিম্পিকসে ব্রোঞ্জ পদকজয়ী শাটলার পিভি সিন্ধুর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানেও ৷ একই প্রশ্ন তুলছেন দেশর ক্রীড়া ব্যক্তিত্বরাও ৷ প্রাক্তন জাতীয় ফুটবলার ও বর্তমান তৃণমূল বিধায়ক বিদেশ বসু বলছেন, ‘‘ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব হিসেবে এই বিষয়টি লজ্জার৷’’ তবে একই সঙ্গে তাঁর যুক্তি, যাঁরা আয়োজন করেছেন এটি তাঁদের রুচির ব্যাপার ৷ তাঁরা কাদের উপর আলোকপাত করবেন এটা তাঁদের বিষয় ৷ বিদেশবাবুর কথায়, ‘‘অলিম্পিকসে যাঁরা পদক জয় করেছেন, তাঁরা কয়েক বছরের পরিশ্রমের ফসল পেয়েছেন ৷ তাই সংবর্ধনা মঞ্চে তাঁদের হাইলাইট করা উচিত ৷ না হলে দেশের আগামী প্রজন্মের কাছে ভুল ব্যাখ্যা যাবে ৷’’ প্রাক্তন ফুটবলার মানস ভট্টাচার্য বলছেন, ‘‘এখানে আমাদের কিছু বলার নেই ৷ উনি দেশের প্রধানমন্ত্রী, যেটা ভাল বুঝেছেন সেটা করেছেন ৷ উনি দেশের অ্যাথলিটদের সার্পোট করেছেন ৷ কিন্তু যেভাবে সংবর্ধনা মঞ্চে ওঁর ছবি বড় করে দেখানো হল, দেখে মনে হচ্ছে উনি পদক জিতেছেন ৷ এটা খারাপ বার্তা যায় ৷’’ অন্যদিকে, এই ইস্যুতে নেটদুনিয়াতেও মোদিকে ট্রোলড় করা শুরু হয়েছে।