পুরীর সমুদ্রসৈকতে প্রেমিকের সঙ্গে বসেছিলেন বছর উনিশের প্রেমিকা ৷ সেইসময় দু’জনের ভিডিয়ো তুলতে থাকে একদল যুবক ৷ তারা ছবিগুলি সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার কথা জানায় ৷ পরবর্তীতে ওই যুবকরা এমনটা করবে না-বলে টাকা দিতে বলে যুগলকে ৷ প্রেমিক-প্রেমিকা টাকা দিতে অস্বীকার করলে ঝামেলার সূত্রপাত।ওই যুগলের উপর ওই যুবকরা চড়াও হয় বলে অভিযোগ। প্রথমে তারা তরুণীর বন্ধুকে মারধর করে। পরে গাছে বেঁধে রেখে তাঁর সামনেই প্রেমিকাকে গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। গত শনিবারের দুপুরের এই ঘটনায় সোমবার সন্ধ্যায় পুরী সদর থানায় অভিযোগ দায়ের হয় ৷ ঘটনার সঙ্গে জড়িত তিন জনকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷ পুরীর এসপি প্রতীক সিং আজ (মঙ্গলবার) বলেন, “তিন জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ বাকি একজনের খোঁজ চলছে ৷” পুলিশ সুপার প্রতীক সিং জানিয়েছে, শনিবার দুপুর নাগাদ ওড়িশার ব্রহ্মগিরি থানা এলাকার বলিহারচণ্ডী মন্দিরের কাছে ঘটনাটি ঘটেছে ৷ তরুণী তাঁর সঙ্গীর সঙ্গে কিছু সময় কাটাতে ওই মন্দিরের কাছেই একটি জায়গায় গিয়েছিলেন ৷ স্থানীয় যুবকদের একটি দল তাদের ছবি ও ভিডিয়ো তুলতে থাকে ৷ পরে তা সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার নাম করে তাঁদের কাছ থেকে টাকা দাবি করে ৷ প্রতীক সিং আরও জানান, যুগল যখন টাকা দিতে আপত্তি জানায়, তখনই দুই যুবক কলেজছাত্রীকে পুরীর সমুদ্রসৈকতের কাছে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে ৷ দলের অন্য যুবকরা তখন প্রেমিককে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখে ৷ শনিবারে ওই ঘটনার পর কলেজছাত্রী শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন ৷ দিনদু’য়েক পর অর্থাৎ সোমবার পুরীর ব্রহ্মগিরি থানায় এসে নির্যাতিতা একটি এফআইআর দায়ের করেন ৷ মহিলার ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে। এলাকার প্রাক্তন বিধায়ক, বিজেডি নেতা সঞ্জয় দাস বর্মা এই ঘটনার জন্য রাজ্যের বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারের সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, “সরকারের উচিত বলিহারচণ্ডী মন্দির এবং তার আশেপাশের এলাকার যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ৷ ওই এলাকাটি এক জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র।” উল্লেখ্য, গত ১৫ জুন ওড়িশার গঞ্জাম জেলার গোপালপুর সমুদ্রসৈকত থেকে এক কলেজ ছাত্রীকে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল। সৈকতের কাছে এক নির্জন স্থানে বসে বন্ধুর সঙ্গে গল্প করছিলেন নির্যাতিতা। সেই সময়েই তাঁদের উপর চড়াও হয়েছিল একদল যুবক। তরুণীর বন্ধুকে মারধর করে হাত-পা বেঁধে ফেলে রাখা হয়েছিল। তারপরে তরুণীকে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ।


