জেলা

শিলিগুড়ি পুরভোটে তৃণমূলকে সমর্থনের ঘোষণা গুরুংয়ের মোর্চার

শিলিগুড়ি পুরনিগম নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীদের সমর্থনের কথা ঘোষণা করল বিমল গুরুংয়ের দল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। এদিন শিলিগুড়ির কাছে দাগাপুরে সাংবাদিক সম্মেলন করে একথা জানান, দলের সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি। শিলিগুড়ি পুরনিগমে বেশ কিছু ওয়ার্ডে ভাল নেপালী ভোটার রয়েছে। এদের মধ্যে কিছুটা হলেও গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার প্রভাব রয়েছে। রোশনের দাবি, তাদের কথায় গোর্খা সম্প্রদায়ের ভোট তৃণমূলই পাবে। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে উন্নয়নের কাজ করছেন তাতে তৃণমূল জিতলে শিলিগুড়ির উন্নয়ন হবে বলেই জানিয়েছেন মোর্চা নেতারা। উল্লেখ্য রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের আগেই অজ্ঞাতবাস থেকে বেরিয়ে এসে তৃণমূলকে সমর্থনের কথা ঘোষণা করেন ইউএপিএ সহ বিভিন্ন গুরুতর অভিযোগে অভিযুক্ত গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা নেতা বিমল গুরুং। তার পর থেকে পুলিশ নিরাপত্তাতেই পাহাড়ে রয়েছেন তিনি। এদিন রোশন গিরি বলেন, পৌরনিগমের ৪৭ টি আসনে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা তৃণমূল প্রার্থীদের সমর্থন করবে৷ যদি তৃণমূল নেতৃত্ব চায় সে ক্ষেত্রে মোর্চা নেতারা তৃণমূল প্রার্থীদের হয়ে প্রচার চালাবে ৷ তবে, পৌরনিগমের মূলত গোর্খা অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার নেতারা তৃণমূল প্রার্থীদের হয়ে প্রচার করবেন ৷ প্রসঙ্গত, শিলিগুড়ি পৌরনিগমের ৪৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে সবচেয়ে বেশি গোর্খা ভোট রয়েছে ২, ৩, ৪, ৪১, ৪২, ৪৩ ও ৪৬ নং ওয়ার্ডে । ফলে ওই ওয়ার্ডগুলিতে যদি গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা তৃণমূলের সমর্থন প্রচার করলে, ওয়ার্ডগুলিতে শাসকদলকে বাড়তি অক্সিজেন জোগাবে বলে মনে করা হচ্ছে ৷ তিনি এ দিন আরও বলেন, ‘‘আমরা এই মুহূর্তে জিটিএ নির্বাচনের পক্ষে নই ৷ আমরা চাই পাহাড়ে চারটি পৌরসভার নির্বাচন আগে হোক ৷ পৌরসভা নির্বাচন না হলে মানুষ বুনিয়াদি সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন ৷ তবে, জিটিএ নির্বাচন হওয়ার আগে পাহাড়ে রাজনৈতিক সমাধান হোক, তার পর জিটিএ নির্বাচন হোক ৷’’