কলকাতা

প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে ইডি তদন্তে অনুমোদন দিল রাজ্যপাল

এবার রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ডের তৎকালীন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে ইডি মামলা দায়েরের অনুমোদন দিল রাজভবন । রাজভবন সূত্রে দাবি, বুধবার এই অনুমতি দিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ৷ রাজভবন সূত্রে দাবি করা হয়েছে যে, 2014 সালের টেটের ভিত্তিতে রাজ্যের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগ মামলায় ইতিমধ্যে 32 হাজার চাকরিজীবীর ভাগ্য ঝুলে রয়েছে আদালতে । সেই মামলায় আর্থিক ক্ষেত্রে কী দুর্নীতি হয়েছে, তা খতিয়ে দেখতে চেয়ে আবেদন জানায় ইডি । পার্থ ও মানিক বিধায়ক হওয়ায় তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে গেলে রাজ্যপালের অনুমতির প্রয়োজন হয় । গতকাল রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস সেই তদন্তের অনুমতি দিয়েছেন ৷ আজ রাজ্যপালের অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি জনিয়েছেন, “গতকাল মাননীয় রাজ্যপাল পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তৎকালীন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের একটি মামলায় আইনানুগ বিচারের জন্য অনুমোদন প্রদান করেছেন ।” অর্থাৎ, রাজ্যের নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় যে কোটি কোটি টাকার অবৈধ লেনদেন হয়েছে, অযোগ্যরা চাকরি পেয়েছেন, সে বিষয়ে ঠিক কত কোটি টাকার লেনদেন হয়েছিল, পার্থ ও মানিকের মতো আর কোন বড় নেতা-মন্ত্রী ও আধিকারিক এই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন, সে বিষয়ে তদন্ত করবেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকরা । এদিকে, রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারের স্ত্রী প্রাক্তন আইআরএস অফিসার সঞ্চিতা কুমারকে রাজ্যের তথ্য কমিশনার হিসেবে নিয়োগে অনুমতি দিয়েছেন রাজ্যপাল । রাজ্যপালের বিশেষ দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক জানান, “রাজ্যপাল পশ্চিমবঙ্গ তথ্য কমিশনের তথ্য কমিশনার হিসেবে সঞ্চিতা কুমার এবং ড. মৃগাঙ্ক মাহাতোকে নিয়োগ করেছেন ।” ড. মৃগাঙ্ক মাহাতো পুরুলিয়ার প্রাক্তন সাংসদ । একইভাবে গত কয়েকদিনে বেশ কয়েকটি বিলেও স্বাক্ষর করেছেন রাজ্যপাল । যেমন, গতকাল রাজ্যপাল যে দুটি বিলে সম্মতি দিয়েছেন সেগুলি হল, পশ্চিমবঙ্গ অনগ্রসর শ্রেণির জন্য কমিশন (সংশোধনী) বিল, ২০১৮ এবং হাওড়া মিউনিসিপাল কর্পোরেশন (সংশোধনী) বিল, ২০২১ ৷ তারও আগে পশ্চিমবঙ্গ টাউন অ্যান্ড কান্ট্রি (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) (সংশোধনী) বিল ২০২৩, পশ্চিমবঙ্গ ভূমি সংস্কার ও ভাড়াটিয়া ট্রাইব্যুনাল (সংশোধনী) বিল ২০২২, পশ্চিমবঙ্গ কর ট্রাইব্যুনাল (সংশোধনী) বিল ২০২২-এও স্বাক্ষর করেছেন রাজ্যপাল । অসুস্থতার কারণে গত কয়েকদিন ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ।