কলকাতা জেলা

স্যালাইন কাণ্ডে সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিল রাজ্য সরকার

স্যালাইন-কাণ্ডে কড়া নির্দেশ রাজ্য প্রশাসনের। এই নিয়ে সিআইডি তদন্তের নির্দেশও দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের ঘটনা নিয়ে প্রাথমিক রিপোর্ট ইতিমধ্যে জমা পড়েছে নবান্নে। সেই রিপোর্ট পর্যালোচনা করেই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে রাজ্য-প্রশাসন সূত্রে। সোমবার এবিষয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ এবং স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম সাংবাদিক সম্মেলন করেন। তাঁরা জানিয়েছেন, কীভাবে এই ঘটনা ঘটেছে তার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হবে। তারপরই এবিষয়ে চূড়ান্ত রিপোর্ট জানা যাবে। এদিন মুখ্যসচিব বলেন, “একটা অবাঞ্ছিত ঘটনা মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে হয়েছে। এক মা মারা গিয়েছেন। আরও চারজন অসুস্থ ৷ তাঁদের মধ্যে তিনজন এখন এসএসকেএমে চিকিৎসারত। প্রাথমিকভাবে দেখা যাচ্ছে একটা সিরিয়াস নেগলিজেন্স ওখানে হয়েছে। ট্রেনি ডাক্তাররা অপারেশনের কাজে যুক্ত ছিলেন, যেটা হ‌ওয়ার কথা নয়। সিনিয়র চিকিৎসকদের থাকা উচিত ছিল।” এদিন মুখ্যসচিব এটাও মেনে নিয়েছেন, নিষিদ্ধ স্যালাইন ব্যবহার করা হয়েছিল। সেটা আর ব্যবহার করা যাবে না। জানা গিয়েছে, এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী নিজে বৈঠক করেছেন স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে। তিনি পরিষ্কার জানিয়েছেন, যাঁরা যাঁরা জড়িত তাঁদের কোনওমতে ছাড়া হবে না। মুখ্যসচিবের আরও সংযোজন, “আগেও এই স্যালাইন ব্যবহার না-করার বিষয়ে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তারপর গত ৭ তারিখ পুনরায় এক‌ই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওই কোম্পানিকে প্রোডাকশন বন্ধ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তারপর থেকে ওদের থেকে আর এই ব্যাচের স্যালাইন নেওয়া হয়নি। এর আগে বিভাগীয় তদন্ত রিপোর্ট তিন দিনের মধ্যে দিতে বলা হলেও তবে সিআইডি তদন্তের ক্ষেত্রে কোনও নির্দিষ্ট সময়সীমা নেই। এই ঘটনার পিছনে আদৌ কোনও গাফিলতি রয়েছে কি না, বাকি সবটাই তদন্ত করবে সিআইডি। তবে আমরা কোনও গাফিলতি বরদাস্ত করব না। সিনিয়র চিকিৎসকের ভূমিকাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে দেখা যাচ্ছে, স্যালাইন দেওয়ার আগে প্রসূতিদের থেকে মুচলেকা নেওয়া হয়েছিল। এবিষয়ও তদন্তের আওতায় থাকছে।”