জেলা পুজো

সাড়ম্বরে পালিত মায়াপুর ইসকন মন্দিরের রথযাত্রা

রাজ্যের সর্বত্র সাড়ম্বরে পালিত হল রথযাত্রা ৷ স্নানযাত্রার পর পনেরো দিন ঘরবন্দি থেকে জগন্নাথদেব বোন সুভদ্রা এবং দাদা বলরামের সঙ্গে মাসির বাড়ি যাত্রা করলেন এই দিনে ৷ রাজ্যে সবচেয়ে বড় দু’টি রথযাত্রা আয়োজিত হয় হুগলির মাহেশ এবং নদিয়ার মায়াপুরের ইসকনের রথযাত্রা ৷ পাশাপাশি, হুগলির গুপ্তিপাড়ার রথযাত্রা এবং কলকাতার ইসকনের রথযাত্রাও বেশ নাম করা ৷ প্রতিবছরের মতোই লক্ষাধিক ভক্ত সমাগমে পালিত হল মায়াপুর ইসকনের রথযাত্রা ৷ পুরীর জগন্নাথ ধামের রথযাত্রার যেমন জগৎ জোড়া নাম ৷ তেমনই মায়াপুর ইসকনের রথযাত্রা জগৎ বিখ্যাত ৷ সারা বছর বিভিন্ন পুথিগত আচার-অনুষ্ঠান চলতেই থাকে মায়াপুর ইসকনের চন্দ্রোদয় মন্দিরে ৷ যার মধ্যে অন্যতম রথ উৎসব ৷ শুক্রবার মহাসমারহে দেশ-বিদেশের ভক্তের উপস্থিতিতে মায়াপুর ইসকনের রাজাপুর জগন্নাথ দেবের মূল মন্দিরে সকাল থেকেই চলে পুজো ৷ পরবর্তীতে মূল মন্দিরে স্নান করিয়ে জগন্নাথ দেব, বলরাম এবং সুভদ্রাকে তোলা হয় রথে ৷ বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মধ্যে দিয়ে রাজাপুরের মন্দির থেকে পাঁচ কিলোমিটার রাস্তা অতিক্রম করে মায়াপুর ইসকনের চন্দ্রোদয় মন্দিরের অস্থায়ী মাসির বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয় জগন্নাথ দেবকে ৷ উৎসবে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত হন অভিনেত্রী রুক্মিণী মৈত্র এবং দেবশ্রী রায়। প্রথমে দুই অভিনেত্রী মঞ্চে এসে ভক্তদের জন্য কিছু বক্তব্য রাখেন। এর পরেই শুরু হয় রথের যাবতীয় নিয়ম-রীতি পালন। রুক্মিণী বলেন, ” আমি এখানে থাকি না, কিন্তু আমিও আপনাদের বাড়ির লোক” মঞ্চ থেকে নেমে সাংসদ জগন্নাথ সরকার, অভিনেত্রী রুক্মিণী মৈত্র ও দেবশ্রী রায় প্রথমে তিনটি রথের সামনে প্রদীপ প্রজ্জলন করেন। এরপর রথের সামনে ফাটানো হয় নারকেল। তার পরে তিনটি রথের  দড়িতে টান দেন সাংসদ জগন্নাথ সরকার, অভিনেত্রী রুক্মিণী মৈত্র ও দেবশ্রী রায়। দুই অভিনেত্রীকে দেখতে রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে মানুষের ঢল নামে।