বিশ্বখ্যাত হেয়ার স্টাইলিস্ট জাভেদ হাবিবের নামে জালিয়াতির অভিযোগ! উত্তরপ্রদেশের সম্ভলে সাধারণ মানুষকে বিপুল মুনাফার লোভ দেখিয়ে তাঁদের দিয়ে বিনিয়োগ করিয়েছেন হাবিব ও তাঁর পুত্র ৷ কিন্তু সময়মতো মুনাফার টাকা তো দূর, মূলধনটুকুও ফেরত পায়নি বিনিয়োগকারীরা ৷ স্বভাবত তাঁরা পুলিশের কাছে অভিযোগ জানায় ৷ এই অবস্থায় জাভেদ, তাঁর পুত্রের বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিশ জারি করেছে পুলিশ ৷ বুধবার সম্ভলের পুলিশ জানিয়েছে, জাভেদ হাবিব, তাঁর পুত্র আনোস হাবিবের বিরুদ্ধে ২৩টি জালিয়াতির মামলা রয়েছে ৷ তাঁরা একটি বিনিয়োগের প্রকল্পের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের সাত কোটি টাকা তছরূপ করেছেন বলে অভিযোগ ৷ তাঁদের বিরুদ্ধে পুলিশ লুকআউট সার্কুলার জারি করেছে ৷ উত্তরপ্রদেশের সম্ভলের এসপি কৃষ্ণকুমার বিষ্ণোই জানান, এফএলসি কোম্পানির ব্যানারে একটি বিনিয়োগের স্কিম চালাচ্ছিলেন জাভেদ ও তাঁর ছেলে ৷ তাঁরা বিনিয়োগকারীদের বিটকয়েন কেনার জন্য প্ররোচিত করেছিলেন এবং সেখান থেকে বার্ষিক ৫০-৭০ শতাংশ রিটার্নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ৷ পুলিশের উচ্চাধিকারিক বলেন, “তাঁরা প্রত্যেক বিনিয়োগকারীর থেকে ৫-৭ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন ৷ এর পরিবর্তে উচ্চ মুনাফার দাবিও করেছিলেন ৷ কিন্তু আড়াই বছর কেটে গেলেও বিনিয়োগকারীরা তাঁদের টাকা ফেরত পাননি ৷” তদন্তকারীরা এখনও পর্যন্ত ৩৮ জনের খোঁজ পেয়েছেন, যাঁরা এই বিটকয়েন কেনার ফাঁদে পা দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা খুইয়েছেন ৷ এসপি কৃষ্ণকুমার বিষ্ণোই বলেন, “জাভেদ হাবিব, তাঁর ছেলে আনোস হাবিব এবং তাঁদের সহযোগী সইফুলের বিরুদ্ধে ২৩টি এফআইআর দায়ের হয়েছে ৷ প্রাথমিক তদন্ত অনুযায়ী, একটি সুপরিকল্পিত উপায়ে এই জালিয়াতি করা হয়েছে ৷” এই পরিস্থিতিতে পুলিশ জাভেদ হাবিব, পুত্র ও তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিশ জারি করেছে ৷ প্রতারিতদের টাকা ফেরত না দিতে পারলে বিএনএস-এর 107 নম্বর ধারার আওতায় জাভেদ হাবিবদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে ৷ দেশে বারবার এই ধরনের ঘটনা ঘটে চলেছে ৷


