আগামী রবিবার মহালয়া। তার আগে পুজোর কেনাকাটায় মেতে উঠেছেন পশ্চিম বর্ধমান জেলার বাসিন্দারা। জমজমাট ভিড় হওয়ায় কয়েকদিন ধরে মুখের হাসিও চওড়া হয়েছিল ব্যবসায়ীদের। এই পরিস্থিতিতে অসুর রূপে হাজির হল বৃষ্টি। রবিবার থেকে দফায় দফায় বৃষ্টির জেরে আসানসোল ও দুর্গাপুরে সমস্যায় পড়লেন বাসিন্দারা। সোমবার বিভিন্ন জায়গায় ভারী বৃষ্টি হয়েছে। শরতে এই বৃষ্টির জেরে আসানসোল ও দুর্গাপুরের বাজারহাট কিছুটা ফাঁকা হয়ে যায়। যদিও বৃষ্টির মাঝেও অনেকে পুজোর বাজার করতে ব্যস্ত ছিলেন। এদিন বাজারে দেখা যায়, ছাতা হাতে ছেলেকে নিয়ে কোনওরকমে বৃষ্টি সামলে যাচ্ছেন গৃহবধূ। ব্যাগভর্তি পুজোর বাজার করে পিছনে হাঁটছেন কর্তা। তবে বৃষ্টিতে ব্যবসায়ীদের মুখ ভার। রাকেশ সিং, দেবেশ দাসরা বলেন, মে মাস থেকে টাকা বৃষ্টিপাত হচ্ছে। সবে কয়েকটা দিন পুজোর ভিড় জমছিল। তার মধ্যে ফের বৃষ্টি আমাদের ব্যবসা সর্বনাশ করে দিল। কতদিন বৃষ্টি হবে কে জানে! এদিন আসানসোল ও দুর্গাপুরে মৃৎশিল্পীদের ওয়ার্কশপে গিয়ে দেখা যায়, কোনওরকমে প্রতিমা রক্ষা করতে তাঁরা ব্যস্ত। এত বৃষ্টিতে প্লাস্টিক ঢাকা দিয়েও প্রতিমা টিকিয়ে রাখা যাচ্ছে না। কয়েকদিন পরই মণ্ডপে ঠাকুর পাঠাতে হবে। কীভাবে সম্ভব হরে ভেবে পাচ্ছেন না অভিজিৎ রুদ্রপাল, বিশ্বনাথ পালরা। আপকার গার্ডেন থেকে রবীন্দ্রনগর, পাঁচগাছিয়া আর্কষণীয় থিম করছে। কিন্তু এই বৃষ্টি উদ্যোক্তাদের কপলে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে। বৃষ্টিতে মণ্ডপের কাজে সমস্যা হচ্ছে। এদিন বিভিন্ন জায়গায় আলাদা সময়ে প্রবল বৃষ্টিপাত হয়েছে। যেমন যে সময়ে আসানসোলের বাসস্ট্যান্ডে প্রবল বৃষ্টিপাত হচ্ছে তখন উষাগ্রাম এলাকায় রোদ। কখনও চিত্তরঞ্জনে প্রবল বৃষ্টি হয়েছে কখনও দুর্গাপুরে। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, রবিবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত আসানসোল ১২৫মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির জেরে আসানসোলের গুরুত্বপূর্ণ সেনর্যালের রাস্তা স্তব্ধ হয়ে যায়। রেলের সাবওয়ের নীচে বিপুল জল জমে যাওয়ায় এই বিপত্তি হয়। একই অবস্থা দেখা যায় আসানসোল স্টেশনের সামনে অংশে। সেখানেও সব রাস্তা জলের তলায় চলে যায়। বার্নপুরে রেল সাবওয়ের নীচে জল জমে থাকায় চরম দুর্ভোগের শিকার হন সাধারণ মানুষ।


