স্ত্রীকে জন্মদিনে সারপ্রাইজ দিতে এসে যে নিজের জীবনটাই হারাতে হবে তা ভাবতে পারেননি ৩৫ বছরের যুবক। পেশায় মার্চেন্ট নেভি অফিসার লন্ডন থেকে গিফট কিনে স্ত্রীয়ের জন্মদিন উপলক্ষে ফিরেছিলেন বাড়ি। কিন্তু তাতে বাধা পড়ে স্ত্রীয়ের পরকীয়া। অন্তত অভিযোগ এমনই। পরকীয়ায় ‘হাড্ডি’ স্বামীকে রাস্তা থেকে সরাতে নৃশংস ভাবে খুন করলেন স্ত্রী। অভিযোগ ঘিরে গোটা দেশে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। প্রেমিকের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বরকে কুচি কুচি করে কেটে স্ত্রী গেঁথে দিয়েছেন সিমেন্টে, এমনটাই অভিযোগ। এই নৃশংস ঘটনা সামনে এসেছে উত্তরপ্রদেশের মিরাটের ব্রহ্মপুরীতে। জানা গিয়েছে, মৃতের নাম সৌরভ রস্তোগি। তাঁকে খুনের অভিযোগ উঠেছে স্ত্রী মুসকান ও তাঁর প্রেমিক সাহিলের বিরুদ্ধে। সৌরভের দেহের টুকরো উদ্ধারের পরেই মুসকান ও সাহিলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত ৪ মার্চ মাচেন্ট নেভি সৌরভ রস্তোগির নিঁখোজ হওয়ার রিপোর্ট পেয়ে তদন্তে নামে পুলিশ। প্রথম থেকেই মুসকানের কথায় অসঙ্গতি পেয়ে সন্দেহ জাগে তদন্তকারীদের। এসপি আয়ুষ বিক্রম সিং জানিয়েছেন, ‘বাড়ির মধ্যে তল্লাশি শুরু হতেই একটি জমাট সিমেন্ট ভরা ড্রাম পাই আমরা। ড্রামের ভিতর সিমেন্টের মধ্যে থেকে উদ্ধার হয় মানুষের দেহের একাধিক টুকরো। দেহটিতে পচন শুরু হয়ে গিয়েছিল।’ দেহটি সৌরভের বলে শনাক্ত করে তাঁর পরিবার। ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে দেহের টুকরো। পুলিশ জানিয়েছে, সম্ভবত ৪ মার্চের আগেই খুন করা হয়েছে সৌরভকে। দেহের অবস্থা দেখে অনুমান, দিন ১৫ আগেই মৃত্যু হয়েছে ওই যুবকের। তদন্তে প্রকাশ, স্ত্রীয়ের জন্মদিনে এসে মুসকানের পরকীয়া হাতেনাতে ধরেন সৌরভ। এর পরই তাঁকে খুন করেন মুসকান ও সাহিল। নৃশংস ভাবে খুনের পর জলের ড্রামে দেহের টুকরো ভরে সিমেন্ট ঢেলে দেয় দুই অভিযুক্ত। শুধু তাই নয়, এর পরই সাহিল ও মুসকান বেরিয়ে পড়েন মানালি ট্যুরে। পরিবারের মিসিং ডায়েরি পেয়ে পুলিশ তদন্তে নামতেই খুনের বিষয়টি সামনে আসে। জেরায় বার বার অস্বীকার করলেও দেহ উদ্ধারের পর বুধবার গ্রেপ্তার করা হয় সৌরভের স্ত্রী মুসকান ও তাঁর প্রেমিককে।
