ক্রাইম

হায়দরাবাদে ১৭ বছরের সহপাঠীকে যৌন নির্যাতন, ভিডিও তুলে ব্ল্যাকমেল, গ্রেফতার ৫ কিশোর

 আগস্ট মাসের হায়দরাবাদে এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ করে তারই স্কুলের বন্ধুরা। পুরোটাই এতদিন গোপন ছিল। দুর্ভাগ্যক্রমে সেই ঘটনার একটি ভিডিও ক্লিপ চলে এল নির্যাতিতার বাবার মোবাইলে। তিনি পুলিসে অভিযোগ করতেই মেয়ের ওই ৫ ‘বন্ধু’-র ভয়ঙ্কর কীর্তি সামনে চলে এল। অভিযুক্তরা সবাই নবম ও দশম শ্রেণির পড়ুয়া। পুলিস সূত্রে খবর, স্কুল ছুটির পর হায়দরাবাদের বাইরে একটি ঘরে বসে তারা বিকেলের দিকটা কাটাতো। সেখানে তারা মোবাইলে পর্ন ভিডিয়ো দেখতো। এভাবেই চলছিল। এর মধ্যেই তাদের নজর পড়ে তাদের এক সহপাঠীর উপরে। দশম শ্রেণির ওই ছাত্রীটি ওইসব ছাত্রদের গ্রুপটির সঙ্গে মেলামেশা করতো। শেষপর্যন্ত লালসা মেটাতে ওই ছাত্রীকেই ফাঁদে ফেলে তারা। আগস্ট মাসে তারা ওই ছাত্রীর বাড়িতে যায়। সেইসময় ছাত্রীটির পারিবারের কেউ ঘরে ছিল না। সেই সুযোগে ওই ৫ ছাত্র ছাত্রীটিকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয় ঘটনার ভিডিয়ো রেকর্ডও করে রাখে। ছাত্রীটিকে শাসানি দেওয়া হয়, ধর্ষণের কথা কাউকে বললে সেই ভিডিয়ো ক্লিপ ভাইরাল করে দেওয়া হবে। এখানেই থেমে থাকেনি তারা। ওই ঘটনার দিন দশেক পর ওই ৫ জনের মধ্যে একজন ওই ক্লিপ দেখিয়ে ফের ওই ছাত্রীকে যৌন হেনস্থা করে। এদিকে, ভিডিয়ো ভাইরাল করে দেওয়া হবে হুমকি দেওয়া হবে বলা হলেও শেষপর্যন্ত মেজেজিং অ্যাপে ওই ভিডিয়ো ক্লিপ ছড়িয়ে দেওয়া হয়। তখন বাধ্য হয়ে ছাত্রীটি গোটা বিষয়টি তার বাবা-মাকে বলে দেয়। পাশাপাশি ছাত্রীর বাবার মোবাইলেও সেই ক্লিপটি কেউ পাঠিয়ে দেয়। এরপরই ওই ছাত্রীর বাবা পুলিসের কাছে ৫ ছাত্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিস ওই ৫ ছাত্রকে গ্রেফতার করে ও তাদের বিরুদ্ধে পকসো ধারায় অভিযোগ আনা হয়। 

রাচাকোন্ডা পুলিশ কমিশনারেটের তরফে জানানো হয়েছে, মেয়েটিকে নির্যাতনের ভিডিও রেকর্ড করেছিল অভিযুক্তরা। তা হোয়াটসঅ্যাপে শেয়ারও করে। অভিযোগ পেয়ে পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে তিনটি মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।