আইএমডি শুক্রবার জানিয়েছে, দক্ষিণ-পূর্ব এবং পার্শ্ববর্তী দক্ষিণ-পশ্চিম আরব সাগরের উপর একটি নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে এবং ২১ অক্টোবর সকালের মধ্যে এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে ।চলতি বছরে আরব সাগরে এটি দ্বিতীয় ঘূর্ণিঝড় হতে চলেছে । ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণের জন্য অনুসরণ করা একটি সূত্র অনুসারে এর নাম দেওয়া হয়েছে তেজ ৷ আইএমডি-র পূর্বাভাস, ঘূর্ণিঝড়টি রবিবার আরও তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে ৷ ওমান ও তৎসংলগ্ন ইয়েমেনের দক্ষিণ উপকূলের দিকে অগ্রসর হবে ৷তবে, আবহবিদরা সতর্ক করে দেন যে মাঝে মাঝে এই ধরনের ঝড় পূর্বাভাস দেওয়া পথে যায় না ৷ তীব্রগতিতে তা অন্যদিকে চলে যায়৷ যেমন ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়ের ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছিল ৷ ওই ঘূর্ণিঝড় গত জুন মাসে আরব সাগরে তৈরি হয়েছিল এবং ল্যান্ডফলের জন্য গতিপথ পরিবর্তন করার আগে প্রাথমিকভাবে উত্তর-উত্তর-পশ্চিম দিকে চলে গিয়েছিল । শেষে গুজরাতের মাণ্ডবী ও পাকিস্তানের করাচিতে আছড়ে পড়ে ৷আইএমডি জানিয়েছে, নিম্নচাপটি শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টায় সোকোত্রার (ইয়েমেন) প্রায় ৯০০ কিলোমিটার পূর্ব ও দক্ষিণ পূর্বে, সালালাহ বিমানবন্দর (ওমান) থেকে ১১৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ পূর্বে এবং আল গাইদাহ (ইয়েমেন) থেকে ১২৬০ কিলোমিটার পূর্ব ও দক্ষিণ পূর্বে অবস্থান করছে ৷ বেসরকারি পূর্বাভাস সংস্থা স্কাইমেট ওয়েদার জানিয়েছে যে বেশিরভাগ মডেল ইঙ্গিত করছে যে এই ঘূর্ণিঝড় ইয়েমেন এবং ওমান উপকূলের দিকেই যাচ্ছে ।যদিও, গ্লোবাল ফোরকাস্ট সিস্টেম মডেলগুলি আবার এই ঘূর্ণিঝড় পাকিস্তান ও গুজরাত উপকূলের দিকে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে ৷ কারণ, এই ঘূর্ণিঝড় আরব সাগরের গভীর কেন্দ্রীয় অংশে অবস্থান করছে ৷ এখান থেকে তা অভিমুখ বদলাতেও পারে ৷ একটি ঘূর্ণিঝড়কে ৬২-৮৮ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ দ্বারা চিহ্নিত করা হয়, যখন বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ৮৯-১১৭ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় পৌঁছয়, তখন এটিকে তীব্র ঘূর্ণিঝড় বলা হয় ।অন্যদিকে আইএমডি আরও জানিয়েছে যে দক্ষিণ পশ্চিম এবং তৎসংলগ্ন দক্ষিণ পূর্ব বঙ্গোপসাগরের উপর একটি নিম্নচাপ অঞ্চলটি ২২ অক্টোবরের দিকে পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগরের উপর নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে । রবিবার সকাল পর্যন্ত তা পশ্চিম থেকে উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে ৷ তারপরে উত্তর থেকে উত্তর-পূর্ব দিকে বাংলাদেশ উপকূলের দিকে চলে যেতে পারে ।