দেশ

বিজয় মালিয়া এবং নীরব মোদিকে দেশে ফেরানোর দাবি ভারতের

 বিজয় মালিয়া এবং নীরব মোদিদের দেশে ফেরানো নিয়ে কথা হল ভারত ও বিট্রেনের প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে হওয়া বৈঠকে ৷ দু’দিনের সফরে বুধবার ভারতে আসেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমার ৷ এরপর বৃহস্পতিবার মুম্বইয়ে দু’পক্ষের মধ্যে দীর্ঘক্ষণ বিভিন্ন বিষয়ে কথা হয় ৷ সেখানেই এই দুই ঋণখেলাপি ব্যবসায়ীকে দেশ ফেরানোর দাবি উঠেছে ৷ দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি আরও অনেকে এই বৈঠকে অংশ নেন ৷ ছিলেন ইংল্যান্ড থেকে আসা বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের কর্তারাও ৷ সাম্প্রতিক অতীতে ইংল্যান্ডের বিভিন্ন অংশে খালিস্তানি সমর্থকরা সক্রিয় হয়েছে ৷ বিভিন্ন ইস্যুতে তারা বিক্ষোভ দেখিয়েছে ৷ এই বিষয়টি নিয়ে আগেই সরব হয়েছে ভারত ৷ এদিনের বৈঠকে আরও একবার খালিস্তানি সমর্থকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া নিয়েও আলোচনা হয়েছে ৷ বিজয় মালিয়া থেকে শুরু করে নীরব মোদি-সহ বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী ভারতের বিভিন্ন ব্যাঙ্ক থেকে মোটা টাকা ঋণ নিয়ে দেশ ছেড়েছেন ৷ তাঁদের মধ্য়ে বিজয় আর নীরব ইংল্যান্ডে আছেন ৷ কখনও কখনও প্রকাশ্যেও দেখা গিয়েছে তাঁদের ৷ এই দু’জনকে ফিরিয়ে আনা নিয়েও আগে উদ্যোগ নিয়েছে ভারত ৷ আইনি পথের পাশাপাশি কূটনৈতিকভাবেও চাপ বাড়াচ্ছে দিল্লি ৷ এবার আরও একবার এই ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হল ৷ দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন করেন ভারত ও বিট্রেনের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কিয়ের স্টারমার ৷ মোদি জানান, ভারত-ব্রিটেন একে অপরের স্বাভাবিক মিত্র ৷ দুই দেশের পারস্পরিক যোগাযোগ পৃথিবীকে আর্থিক স্থায়ীত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নিয়েছে ৷ সামগ্রিকভাবে উন্নয়নের পথ দেখিয়েছে ৷ পাশাপাশি সামরিক দিক থেকেও দুই দেশ একে অপরকে নানভাবে সাহায্য করবে ৷ নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে যৌথ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও হবে বলে জানান মোদি ৷ অন্যদিকে, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী জানান, ভারত যেভাবে উন্নয়নের রাস্তায় হেঁটেছে তা অভাবনীয় ৷ তিনি মনে করেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে 2047 সালের মধ্যে বিকশিত ভারত নির্মাণের কাজ এখন ভালোভাবেই এগিয়ে চলেছে ৷ দুটি দেশ এমন এক আধুনিক সম্পর্কের মধ্যে প্রবেশ করেছে, যার অভিমুখ ভবিষত্যের দিকে ৷ বক্তব্যের অন্য একটি অংশে ব্রিটিশ প্রধনমন্ত্রী জানান, 2028 সালের মধ্যেে ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হয়ে উঠবে ৷ তার জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদিকে তিনি অভিনন্দনও জানান ৷