খেলা

কোহলির শতরান, বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে ৭ উইকেটে হারালো ভারত

চলতি বিশ্বকাপে বিরাট কোহলির প্রথম শতরান। ছক্কা হাঁকিয়ে একশোয় পৌঁছন। ৯৭ বলে ১০৩ রানে অপরাজিত। পুনেতে একদিনের ক্রিকেটে ৮টি ম্যাচ খেলেছেন। তারমধ্যে ৩টি শতরান, ৫টি অর্ধশতরান। একশো শতাংশ সাফল্য কোহলির। শেষ ২০ রান যেন স্ক্রিপ্টেড। ভারতের জয়ের জন্য বাকি ছিল ২০ রান, বিরাটের শতরানের জন্যও। কিন্তু কেএল রাহুলের মতো ভুল করেননি কোহলি। শেষদিকে ছক কষে খেলে আরও একটি শতরানে পৌঁছে যান বিরাট। ইনিংসে রয়েছে ৪টি ছয়, ৬টি চার। শাকিব আল হাসানের অভাব বোধ করল বাংলাদেশ। রোহিত, শুভমন, বিরাটদের রুখতে ব্যর্থ প্রতিপক্ষের অনভিজ্ঞ বোলিং। ২৫৭ রান তাড়া করতে নেমে মাত্র ৪১.৩ ওভারেই সেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ভারত। ৫১ বল বাকি থাকতে ৭ উইকেটে জয় ভারতের। জয়ের হ্যাটট্রিকের পর ৪-০। বিশ্বকাপে ঝড়ের গতিতে এগোচ্ছে রোহিত অ্যান্ড কোম্পানি। পরপর চার ম্যাচ জিতলেও রানরেটে দ্বিতীয় স্থানে ভারত। নিউজিল্যান্ড এবং ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে পরের দুটো কঠিন ম্যাচে নামার আগে মনোবল দ্বিগুণ বাড়িয়ে রাখলেন রোহিতরা। এখনও পর্যন্ত ঘরের মাঠে বিশ্বকাপে অনবদ্য ভারতের নেতা। বুদ্ধিদীপ্ত অধিনায়কত্বের পাশাপাশি দুর্দান্ত ব্যাটিং। শুধুমাত্র অস্ট্রেলিয়া বাদ দিয়ে বাকি সব ম্যাচেই দলকে শক্ত ভীতের ওপর দাঁড় করিয়ে দিচ্ছেন। এদিনও অন্যত্র নয়। তবে মাত্র ২ রানের জন্য অর্ধশতরান হাতছাড়া করেন রোহিত। ২টি ছয়, ৭টি চারের সাহায্যে ৪০ বলে ৪৮ রান করেন। শর্ট বলে ছয় মারতে গিয়ে বাউন্ডারিতে ধরা পড়েন। উইকেটের অন্য প্রান্তে অনবদ্য শুভমন গিলও। পাকিস্তান ম্যাচে রান পাননি সদ্য ডেঙ্গি আক্রান্ত তারকা ক্রিকেটার। কিন্তু এদিন আবার চেনা ছন্দে ধরা দেন। ৫৫ বলে ৫৩ করে আউট হন। একদিনের ক্রিকেটে তাঁর দশম অর্ধশতরান। ইনিংসে ছিল ২টি ছয়, ৫টি চার। গ্যালারিতে বসে গিলের ব্যাটিং উপভোগ করেন শচীনকন্যা সারা তেন্ডুলকর। শাকিবের অনুপস্থিতির পুরো ফায়দা তোলেন বিরাট কোহলি। হাফ সেঞ্চুরি করেন প্রাক্তন অধিনায়ক। বাংলাদেশের অলরাউন্ডারের বিরুদ্ধে রেকর্ড ভাল না বিরাটের। তাঁকে একাধিকবার আউট করেছেন শাকিব। কিন্তু আজ বাংলাদেশের নেতা না থাকার পুরো ফায়দা তোলেন কোহলি। ৪৮ বলে অর্ধশতরানে পৌঁছে যান। কনভার্ট করেন একশোয়। অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের পর আবার রান পেলেন কোহলি। শুরুটা ভাল করেও বেশিক্ষণ টিকে থাকতে পারেননি শ্রেয়স আইয়ার। ১৯ করে আউট হন। চোটের জন্য ব্যাট করার সম্ভাবনা ছিল না হার্দিক পাণ্ডিয়ার।‌ তাই বাড়তি দায়িত্ব নিয়ে খেলতে হয় কেএল রাহুলকে। ৩৪ রানে অপরাজিত থাকেন রাহুল।