দেশ

ডুবে গেল পণ্যবাহী জাহাজ, দাহ্য পণ্য ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় সতর্কতা জারি কেরল উপকূলে

ডুবন্ত পণ্যবাহী জাহাজ থেকে ২৪ জন কর্মীকে উদ্ধার করল উপকূলরক্ষা ও নৌবাহিনী ৷ এদিকে ৬৪০টি কন্টেনার বোঝাই ওই জাহাজের ১৩টি কন্টেনারে দাহ্য পদার্থ ছিল, যা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকারক ৷ পাশাপাশি জাহাজের ট্যাঙ্কার থেকে তেল বেরিয়ে সমুদ্রে মিশে ওই অঞ্চলের প্রাণী, জলজ উদ্ভিদদের বেঁচে থাকা বিপন্ন করে তুলতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন পরিবেশবিদরা ৷ সরকারি সূত্রে খবর, ২৫ মে ভোররাতে আরব সাগরে কেরলের কোচি উপকূল থেকে 38 নটিক্যাল মাইল দক্ষিণ-পশ্চিমে লাইবেরিয়ার এই পণ্যবাহী জাহাজটি ডুবে যায় ৷ জাহাজে থাকা ২৪ জনকেই উদ্ধার করা হয়েছে ৷ রবিবার উপকূলরক্ষী বাহিনী বিবৃতিতে জানায়, “২৫ মে ভোররাতে এমএসসি এলসা ৩ ডুবে যায় ৷ ওই লাইবেরিয়ার জাহাজটিতে ৬৪০ টি কন্টেনারের মধ্যে ১৩টিতে দাহ্য পদার্থ ছিল ৷ এর মধ্যে ১২ টি কন্টেনার ক্যালসিয়াম কার্বাইড ভর্তি ছিল ৷ এছাড়া জাহাজটির ট্যাঙ্কে ৮৪.৪৪ মেট্রিক টন ডিজেল এবং ৩৬৭.১ মেট্রিক টন পেট্রোলিয়াম জ্বালানি ছিল ৷ উপকূলরক্ষী বাহিনী তড়িঘড়ি দূষণ প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিয়েছে ৷ যে কোনও রকম পরিস্থিতির মোকাবিলায় রাজ্য সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে কাজ করা হচ্ছে ৷ আইসিজির যুদ্ধবিমানে দূষণের মোকাবিলায়, বিশেষত সমুদ্রে তেল মিশে যাওয়ার হিসেবনিকেশ সংক্রান্ত অত্যাধুনিক ব্যবস্থা রয়েছে ৷ সেই উন্নত প্রযুক্তি-সম্পন্ন এয়ারক্রাফ্টটি দ্রুত অকুস্থলে পৌঁছে যায় ৷ এয়ারক্রাফ্টটি এখন ওই ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলটি ঘুর পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখছে ৷ এখনও পর্যন্ত সমুদ্রে তেল মিশে দূষণের রিপোর্ট পাওয়া যায়নি ৷ ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী সূত্রে খবর, শনিবার সন্ধ্যা থেকে ওই ডুবন্ত জাহাজ থেকে কর্মীদের উদ্ধারের কাজ শুরু হয় ৷ ২১ জনকে উদ্ধারের পর তিন জন জাহাজটিতে রয়ে গিয়েছিলেন ৷ তাঁরা জাহাজের ক্যাপ্টেন, প্রধান ইঞ্জিনিয়ার এবং সেকেন্ড ইঞ্জিনিয়ার ৷ রবিবার ভোরে আইএনএস সুজাতা জাহাজে থাকা ওই তিনজনকে জাহাজ থেকে বের করে আনে ৷ তাঁরা সবাই এখন নিরাপদে রয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে উপকূলরক্ষী বাহিনী ৷