রেশন বণ্টন দুর্নীতিকাণ্ডে গ্রেফতার মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে ৬ নভেম্বর পর্যন্ত ইডি হেফাজতের নির্দেশ দিল ব্যাঙ্কশাল আদালত। আদালতের নির্দেশ শোনার পরেই এজলাসে মাথা ঘুরে পড়ে যান জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এর পর ইডি হেফাজতের নির্দেশ পুনর্বিবেচনা করার আবেদন করে জ্যোতিপ্রিয়কে হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে বলে দাবি তোলেন মন্ত্রীর আইনজীবীরা। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে ইডির পছন্দের কম্যান্ড হাসপাতালে জ্যোতিপ্রিয়কে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক তনুময় কর্মকার। শুক্রবার বিকেলে জ্যোতিপ্রিয়কে আদালতে পেশ করে ইডি। সওয়াল জবাব শেষে জ্যোতিপ্রিয়কে ৬ নভেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। নির্দেশ শুনে এজলাসেই বসে পড়েন জ্যোতিপ্রিয়। এর পর জ্ঞান হারান তিনি। ইডি আধিকারিকরা তাঁকে ধরে একটা চেয়ারে বসান। সেখানে সামান্য বমি করেন মন্ত্রী। এর পর তাঁকে এজলাসের বাইরে বারান্দায় বসানো হয়। সেখান থেকে বিচারকের অনুমতি নিয়ে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁর শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত চেম্বারে। এরই মধ্যে ইডি হেফাজতের মেয়াদ পুনর্বিবেচনা ও মন্ত্রীকে হাসপাতালে ভর্তির দাবি তুলে ফের বিচারকের দ্বারস্থ হন তাঁর আইনজীবীরা। এর মধ্যে জ্যোতিপ্রিয় তাঁর মেয়েকে ডেকে নেন কাছে। মেয়ে প্রিয়দর্শিনী মল্লিক বাবার মাথায় জল দেন। এর পর কিছুটা সুস্থ হন জ্যোতিপ্রিয়। ওদিকে বিচারক জানান, জ্যোতিপ্রিয়কে এখন কম্যান্ড হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। তাঁর চিকিৎসায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করতে হবে কম্যান্ড হাসপাতালকে। এছাড়া জ্যোতিপ্রিয় বাড়ির খাবার খেতে পারবেন। তবে সেই খাবার ইডি দফতরে বসে আগে জ্যোতিপ্রিয়র মেয়েকে খেতে হবে। বাড়ির পোশাক পরতে পারবেন তিনি। তবে পরা যাবে না দড়ি দেওয়া পাজামা বা কোনও পোশাক। প্রতিদিন ১ ঘণ্টা করে দেখা করতে পারবেন আইনজীবীর সঙ্গে। এদিন আদালতে নিজের হয়ে নিজেই সওয়াল করেন জ্যোতিপ্রিয়। বলেন, আমি নির্দোষ। আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। বিচারক জানতে চান, জিজ্ঞাসাবাদের সময় কি আপনাকে শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে? জবাবে জ্যোতিপ্রিয় বলেন, না। ইডি আধিকারিকরা খুবই ভদ্র আচরণ করেছেন। রায়দানের সময় বিচারক তাঁর পর্যবেক্ষণে বলেন, ২০১৫ সালে জ্যোতিপ্রিয়র স্ত্রী মণিদীপার সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ৪৫ হাজার টাকা। ২০১৬ সালে তা ৬ কোটি হল কী করে?