চোখের সামনে একের পর এক পর্যটককে গুলি করা হচ্ছে। মৃত্যু নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত চলছে AK-৪৭। বৈসরন ভ্যালিতে চলছে নির্মম হত্যালীলা। বিষয়টি দেখেই এক সন্ত্রাসবাদীর উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন ওই এলাকায় ঘোড়া চড়ানোর কাজের সঙ্গে যুক্ত এক ব্যক্তি। তাঁকেও রেয়াত করেনি জঙ্গিরা। গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে যান সইদ আদিল হুসেন শাহ। মঙ্গলবার দুপুরে দক্ষিণ কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলার বৈসরন উপত্যকায় যখন এলোপাথাড়ি গুলি চালাচ্ছিল জঙ্গিরা, তখন বৈসরন উপত্যকায় উপস্থিত ছিলেন সইদ। পর্যটকদের ঘোড়ায় চড়ানোই তাঁর পেশা। প্রতক্ষ্যদর্শীদের কথায়, গুলি চালানোর বিষয়টি লক্ষ্য করেই এক জঙ্গির উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন সইদ। কিন্তু দুঃসাহস দেখিয়েও লাভ হয়নি। তাঁর শরীর গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেয় জঙ্গিরা। সইদের পরিবারে আছেন বৃদ্ধ বাবা-মা, স্ত্রী এবং সন্তান। পহেলগামেই তাঁদের বসবাস। পরিবারের একমতে রোজগেরে ছিলেন তিনিই। ছেলেকে হারিয়ে ভেঙে পড়েছেন তাঁরা বাবা। সইদের বাবা একটি সংবাদ সংস্থাকে জানান, ছেলে কাজে গিয়েছিল। বিকেল ৩টে নাগাদ আমরা জঙ্গি হামলার খবর পাই। ওকে বার বার ফোন করেছিলাম, কিন্তু ফোন বন্ধ ছিল। সইদের বাবার দাবি, দীর্ঘক্ষণ কোনও খোঁজ না মেলায় তাঁরা থানায় যোগাযোগ করেন। সেখান থেকেই জানা যায়, জঙ্গি হামলায় প্রাণ গিয়েছে তাঁদের ছেলের। সইদের বাবা বলেন, ‘এই ঘটনার সঙ্গে যেই যুক্ত থাকুক না কেন, তাকে পরিণতি ভোগ করতেই হবে।’ কাশ্মীরের পহেলগামে জঙ্গি হামলার ঘটনায় নিহতদের একটি তালিকা গতকালই প্রকাশ করেছিল প্রশাসন। সেখানেই ২৬ জনের মধ্যে সইদের নাম ছিল। জঙ্গি হামলার ঘটনার তদন্ত করছে NIA। আজ, বুধবার ঘটনাস্থলে যান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
