প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার রহস্যমৃত্যুর পর থেকেই সংবাদের শিরোনামে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। নিত্যদিনই কোনও না কোনও কারণ ঘিরে অশান্ত বিশ্ববিদ্যালয়। এরমধ্যেই বুধবার নতুন করে চাঞ্চল্য ছড়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি রক্ষা করতে ফোর্স মোতায়েন করার ইচ্ছা প্রকাশ করে আচমকা বুধবার দুপুরে ভারতীয় সেনার এম্বলেম লাগানো পোশাকে হাজির হন ২৫-৩০ জন। তাদের পক্ষে একজন গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথাও বলেন। জানান, বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের আভ্যন্তরীণ সমস্যার কথা জেনে তাঁরা এসেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি রক্ষার্থে যদি বাহিনী ব্যবহারের প্রয়োজন হয়, তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় চাইলে তাঁরা পরিষেবা দেবেন। মানবাধিকার রক্ষার কাজ করলেও তাদের এই সংস্থা প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অধীনে কাজ করে বলেই দাবি করেছিলেন তাঁরা। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মামলা করল কলকাতা পুলিশ। ১৪০ ও ৩৪ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়। পুলিশের অভিযোগ, ভারতীয় সেনার পোশাকে অবমাননা করা হয়েছে। যদিও এই বিষয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযোগ করেনি। সূত্রের খবর, কেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি? সেই বিষয়ে আগামিকাল রেজিস্ট্রারকে ফোন করতে পারে পুলিশ। ভারতীয় সেনার এম্বলেম লাগানো পোশাক পরিহিত সেই ২৫-৩০ জন যুবককে সংবাদমাধ্যম প্রশ্ন করতেই বেরিয়ে আসে আসল সত্য। কখনও তাঁরা আন্তর্জাতিক সংগঠন, কখনও বা মানবাধিকার কমিশনের সদস্য, কখনও আবার NGO, এই রকম বিভিন্ন দাবি করেন। তাঁদের কাঁধে logo লেখা ইনসিগনিয়া ব্যবহার করা থাকলেও, তাঁদের নিয়ন্ত্রক সংস্থা কিংবা তাঁদের স্বীকৃতি কারা দিয়েছেন, সেই বিষয়ে কোনও স্পষ্ট উত্তর দিতে পারেননি তাঁরা। ইন্ডিয়ান আর্মি লেখা পোশাক-ই বা কেন ব্যবহার করছেন? তারও উত্তর দিতে পারেননি ।