সংসদে নিরাপত্তা তরজার জের। রাজ্যসভায় সাসপেন্ড তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। ‘দেখ কেমন লাগে’, বললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সংসদের হামলার ঘটনায় উত্তাল গোটা দেশ। উত্তপ্ত হয়ে উঠল সংসদের দুই কক্ষও। এদিন রাজ্যসভায় ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখান বিরোধীরা। চেয়ারম্য়ান জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে রীতিমতো তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়েন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। তাঁকে প্রথমে কক্ষত্য়াগের নির্দেশ দেন চেয়ারম্যান। এরপরই গোটা শীতকালীন অধিবেশনের জন্য সাসপেন্ড করা হয় ডেরেককে। অসংসদীয় আচরণের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছিল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। এদিন তিনি বলেন, ‘এক যাত্রায় পৃথক ফল হবে কী করে? বিরোধী দলনেতা শিটে বসে সাসপেন্ড হন, আর ওয়েলে নেমেছে সাসপেন্ড হয়েছে। দেখ কেমন লাগে’! এদিকে সংসদকাণ্ডে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি তুলেছে তৃণমূল। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘যাঁর দেওয়া পাসে দুষ্কৃতীরা ঢুকল, তাঁকে সাসপেন্ড করা হল না, আমাদের ডেরেক ও’ব্রায়েন-সহ ১৫ জন সাসপেন্ড করে দেওয়া হল! এতো দলবাজি চলছে, দেশের নিরাপত্তা বিঘ্নিত। আমরা উদ্বিগ্ন। সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস মনে করছে যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে অবিলম্বে ইস্তফা দিতে হবে। পাশাপাশি, প্রধানমন্ত্রীকে সামনে এসে দাঁড়িয়ে, সংসদে বিবৃতি দিতে হবে’।