খেলা

চেন্নাই সুপার কিংসকে ৬ উইকেটে হারিয়ে দিল লখনউ

চেন্নাই সুপার কিংসকে ৬ উইকেটে হারিয়ে দিল লখনউ। চেন্নাইয়ের দেওয়া ২১১ রানের লক্ষমাত্রায় ৩ বল বাকি থাকতেই পৌঁছে গেল লখনউ। এদিন চেন্নাই সুপার কিংসকে টস জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেয় । কিন্তু অধিনায়ক রাহুলের সিদ্ধান্ত বুমেরাং হয়। প্রথমে ব্যাট করে ঋতুরাজের অনবদ্য সেঞ্চুরিতে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ২১০ রান তোলে চেন্নাই। এদিন শুরুটা ভালো হয়নি সিএসকের। মাত্র ৪ রানের মাথায় প্যাভিলিয়নে ফেরেন রাহানে। ডারিল মিচেলও আউট হয়ে যান দলগত রান ৫০ পেরোনোর আগেই। কিন্তু অন্য প্রান্তে ঋতুরাজ দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। শেষদিকে তাঁকে সঙ্গত করেন দুর্দান্ত ফর্মে থাকা শিবম দুবেও। ঋতুরাজ ৬০ বলে ১০৮ এবং দুবে মাত্র ২৭ বলে ৬৬ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। ২১১ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে খেলতে নেমে শুরুটা বিশ্রী করে লখনউ সুপার জায়ান্টস। কুইন্টন ডি’কক ফিরে যান কোন রান না করেই। অধিনায়ক রাহুলও বেশিক্ষণ ক্রিজে টিকতে পারেননি। ১৪ বলে ১৬ রান করেন তিনি। এর পরই ইনিংসের হাল ধরেন স্টয়নিস। লখনউয়ের ডুবন্ত নৌকা কার্যত একার হাতে তীর পর্যন্ত নিয়ে যান তিনি। অনবদ্য সেঞ্চুরিও হাঁকিয়ে ফেলেন তিনি। তাঁকে সঙ্গ দেন নিকোলাস পুরান এবং দীপক হুডা। পুরান মাত্র ১৫ বলে ৩৪ রান করেন। আর হুডা রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন। কিন্তু কোনও লড়াই-ই কাজে আসত না যদি না শেষ ওভারে স্নায়ুর চাপ সামলে চেন্নাইয়ের হাত থেকে জয় ছিনিয়ে আনতেন স্টয়নিস। শেষ ওভারে চেন্নাইয়ের হয়ে বল করতে আসেন মুস্তাফিজুর। হাতে পুঁজি ছিল ১৭ রান। স্টয়নিস প্রথম বলেই হাঁকিয়ে দেন বিশাল ছক্কা। দ্বিতীয় বলে আবার বাউন্ডারি। তৃতীয় বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়েই জয় কার্যত নিশ্চিত করে ফেলেন স্টয়নিস।  সেটা আবার নো বল ছিল। চতুর্থ বলেও ফের বাউন্ডারি। মুস্তাফিজুর যেন স্টয়নিসের সামনে অসহায়ভাবে আত্মসমর্পণ করলেন।