বাংলায় এসআইআর শুরুর দিন ঘোষণার আগেই রাজ্যের প্রশাসনিক পদে বড়সড় রদবদল ৷ সরকারি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী জানা গিয়েছে, জেলাশাসক স্তরে একাধিক বদলি হয়েছে । উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক শরদ কুমার দ্বিবেদীকে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ দফতরের সচিব করা হয়েছে । দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা যাচ্ছেন কলকাতা পুরনিগমের মিউনিসিপ্যাল কমিশনার হিসেবে । কোচবিহারের ডিএম অরবিন্দ কুমার মীনা হচ্ছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার নতুন জেলাশাসক । দার্জিলিংয়ের ডিএম ড. প্রীতি গোয়েল দায়িত্ব নিচ্ছেন মালদার জেলাশাসক হিসেবে । মালদার ডিএম নীতিন সিংহানিয়া যাচ্ছেন মুর্শিদাবাদের জেলাশাসক হিসেবে । পুরুলিয়ার ডিএম ড. রজত নন্দা হচ্ছেন পর্যটন দফতরের নতুন ডিরেক্টর । একই সঙ্গে হলদিয়া ডেভেলপমেন্ট অথরিটির সিইও কন্তম সুধীরকে পুরুলিয়ার নতুন জেলাশাসকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে । বীরভূম, ঝাড়গ্রাম, পূর্ব মেদিনীপুর-সহ বিভিন্ন জেলায়ও জেলাশাসকদের পরিবর্তন হয়েছে এবং কয়েকজন প্রবীণ ডব্লুবিসিএস অফিসারকে বিশেষ সচিবের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে । এছাড়াও অতিরিক্ত জেলাশাসক (ADM) এবং যুগ্ম-সচিব স্তরে গুরুত্বপূর্ণ রদবদল হয় । পূর্ব বর্ধমানের অতিরিক্ত জেলাশাসক শ্বেতা আগরওয়াল হচ্ছেন সমাজকল্যাণ দফতরের ডিরেক্টর । দক্ষিণ ২৪ পরগনার অতিরিক্ত জেলাশাসক হরসিমরন সিংহকে পাঠানো হয়েছে অর্থ দফতরের বিশেষ সচিব পদে । আলিপুরদুয়ারের অতিরিক্ত জেলাশাসক নির্পেন্দ্র সিংহ দায়িত্ব নিচ্ছেন নদিয়ায় ৷ আর নদিয়ার অতিরিক্ত জেলাশাসক শিঞ্জন শেঠিকে নেওয়া হয়েছে খাদ্য ও সরবরাহ দফতরের যৌথসচিব পদে । এছাড়াও পশ্চিম মেদিনীপুর, জলপাইগুড়ি, হাওড়া, কোচবিহার, বাঁকুড়া-সহ বিভিন্ন জেলায় অতিরিক্ত জেলাশাসক পদে রদবদল হয়েছে । প্রশাসনিক মহলের মতে, প্রশাসন ও দফতরের মধ্যে সমন্বয় জোরদার করতেই এই স্তরের পরিবর্তন অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ছিল । রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এসআইআর ব্যবস্থা চালুর আগে প্রশাসনিক নেতৃত্বকে নতুনভাবে সাজিয়ে নেওয়া মুখ্যমন্ত্রীর একটি কৌশলগত পদক্ষেপ । এতে পরিষেবা প্রদান, মনিটরিং, জরুরি পরিস্থিতি – সব ক্ষেত্রেই গতি আসবে বলে ধারণা । আর এই রদবদল উৎসবের সময় হওয়ায় শাসকদলের বার্তা আরও জোরালো- ‘প্রশাসন থেমে থাকে না, কাজ চলবেই ।’ উৎসবের মরশুমের মাঝেই জেলা থেকে দফতরের শীর্ষস্তর পর্যন্ত এই রদবদল যে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ, তা মানছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরাও ।


