জেলা পুজো

দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে মিউজিয়াম ও লাইট অ্যান্ড শোয়ের উদ্বোধনে মুখ্যমন্ত্রী

লাইট অ্যান্ড সাউন্ড সিস্টেমের মাধ্যমে এবার থেকে জানা যাবে দক্ষিণেশ্বর কালী মন্দিরের সেই সমস্ত ইতিহাস ৷ দক্ষিণেশ্বর মন্দির নির্মাণের ইতিহাস আমাদের অনেকেরই অজানা ৷ এবার মন্দিরে পুজো দেওয়া ও ঘোরার পাশাপাশি জানতে পারবেন মন্দির তৈরির ইতিহাস ৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের সৌজন্যে সেই ইতিহাস দেখানো হবে লাইট অ্যান্ড সাউন্ডের মাধ্যমে ৷ যা এক নিমেষে আপনাকে ফিরিয়ে নিয়ে যাবে রানি রাসমণির তৈরি এই মন্দিরের ইতিহাসে ৷ বৃহস্পতিবার লাইট অ্যান্ড সাউন্ড সিস্টেমের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ ব্রিটিশ থেকে শুরু করে মহাপুরুষ ৷ জনে জনে মা ভবতারিণীর মন্দিরে এসেছেন ৷ রেখে গিয়েছেন তাঁদের স্মৃতি ৷ দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে মিউজিয়াম ও লাইট অ্যান্ড শোয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে নাম না করেই কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে একহাত নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলায় ইদানিংকালে দেখা যাচ্ছে কোনও প্রকল্পের ক্ষেত্রে কেন্দ্র সামান্যতম অর্থ বরাদ্দ করলে সেই কাজের পুরো শ্রেয় দাবি করে বসছে বিজেপি বা কেন্দ্র সরকার। অথচ দেখা যাচ্ছে সেই প্রকল্পে কেন্দ্রের থেকে অনেক বেশি টাকাই হয়তো দিয়েছে রাজ্য সরকার। সাম্প্রতিককালে হুগলি জেলার চন্দননগর মহকুমার কামারকুন্ডু উড়ালপুলের উদ্বোধনে সেই বিতর্ক ফের মাথাচাড়া দিয়েছে। কার্যত সেই প্রসঙ্গের নাম না করেই এদিন মুখ্যমন্ত্রী দক্ষিণেশ্বরের উন্নয়ন নিয়ে সেখানকার অছি পরিষদের সম্পাদক কুশল চৌধুরীকেই জানান, ‘কারও কাছে হাত পাতবে না। বাংলা ভিখারি নয়।’  এদিনের অনুষ্ঠানে কুশলবাবু দক্ষিণেশ্বরের উন্নয়ন নিয়ে মমতার একাধিক পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন। পরে মমতা যখন বক্তব্য রাখতে ওঠেন তখন সেই প্রসঙ্গ টেনে এনেই বলেন, দক্ষিণেশ্বরে আগামী দিনে তিনি একটি হেলিপ্যাড তৈরি করে দেবেন। সেই সঙ্গে দক্ষিণেশ্বরে একটি আন্তর্জাতিক মানের গেস্ট হাউস গড়ে তোলার কাজে হাত দিয়েছে অছি পরিষদ। কিন্তু অর্থাভাবে সেই কাজ মাঝপথেই আটকে আছে। সেই প্রকল্পের জন্য দক্ষিণেশ্বর মন্দির কর্তৃপক্ষ কেন্দ্রের সরকারের কাছে আর্জি জানিয়েছিল ওই গেস্ট হাউস নির্মাণের জন্য আর্থিক সাহায্য চাইতে। যদিও সেই সাহায্য মেলেনি। এরপরে সেই কথা মুখ্যমন্ত্রীর কানেও গিয়েছে। সেই সূত্রেই মুখ্যমন্ত্রী এদিনের অনুষ্ঠানে জানিয়ে দেন ওই গেস্টহাউস নির্মাণের জন্য কেএমডি ১০ কোটি টাকা দেবে। তারপরেই তিনি জানিয়ে দেন, ‘ওই কাজের জন্য কারও কাছে হাত পাততে হবে না। বাংলা ভিখারি নয়। মায়ের জন্য আমি বেঁচে থাকতে কখনও কারও কাছে হাত পাততে যাবে না।’