সন্দেশখালির ঘটনা পুরোপুুরি সাজানো, চক্রান্ত৷ সন্দেশখালি কাণ্ডে নিয়ে একটি ভিডিও এ দিন সকাল থেকে ভাইরাল হওয়ার পরই রানাঘাটের সভা থেকেই এই অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘সন্দেশখালি নিয়ে ভাল নাটক তৈরি করেছিল৷ আসল তথ্য ফাঁস হয়ে গিয়েছে৷ আমি অনেকদিন ধরেই বলছিলাম এটা পরিকল্পনা, নাটক৷ সন্দেশখালির স্টিং দেখে বোঝা যায় বিজেপির মধ্যে পচন কতটা গভীর। বাংলার সংস্কৃতিকে হেয় করতে সব স্তরে অপমান করার ষড়যন্ত্র। ইতিহাসে দিল্লির কোনও শাসক দল রাজ্য এবং জনগণকে অপমান করেনি। দিল্লির ষড়যন্ত্রমূলক শাসনের বিরুদ্ধে বাংলা রুখে দাঁড়াতে হবে। মানুষ কী জবাব দেবে তা ইতিহাস সাক্ষ্য দেবে। এদিন সন্দেশখালির ভাইরাল ভিডিও নিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভিডিয়ো শেয়ার করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন, ‘সন্দেশখালি স্টিং বিজেপির পচন কতটা গভীর তা সামনে এনেছে। বাংলার প্রগতিশীল চিন্তা-চেতনা ও সংস্কৃতির প্রতি তাদের ঘৃণার কারণে বাংলা-বিরোধীরা যে কোনও কারণে বাংলাকে অপমান করার ছক কষে। ভারতের ইতিহাসে এর আগে কখনও দিল্লিতে ক্ষমতাসীন দল পুরো রাজ্য ও তার জনগণকে কলঙ্কিত করার চেষ্টা করেনি। ইতিহাস সাক্ষী রাখবে যে, দিল্লির ষড়যন্ত্রকারী শাসনের বিরুদ্ধে কীভাবে বাংলা জেগে উঠেছে।’ সন্দেশখালির ভাইরাল ভিডিও ঘিরে সমাজমাধ্যমে শোরগোল। নেট মাধ্যমে ভাইরাল একটি স্টিং অপারেশনের ভিডিয়ো। স্টিং অপারেশনে রেকর্ড করা যে ভিডিওকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে চর্চা শুরু হয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে গঙ্গাধর কয়াল নামে বিজেপির সন্দেশখালির এক মণ্ডল সভাপতি স্বীকার করে নিচ্ছেন, সন্দেশখালিতে মহিলাদের উপরে নির্যাতন সহ যা যা অভিযোগ উঠেছে, তা সাজানো৷ এমন কি, এই সবকিছুর পিছনে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীরও ভূমিকা রয়েছে বলে দাবি করেন সন্দেশখালির ওই বিজেপি নেতা৷ এমন কি, বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী এবং সন্দেশখালির অন্যতম অভিযোগকারিণী রেখা পাত্রের নামও উঠে আসে ওই ভিডিওতে৷