কুড়মি সমাজের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া বিবেচনার আশ্বাস দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কুড়মি সম্প্রদায়কে তফশিলি উপজাতি হিসেবে মর্যাদা দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করে দেখতে কেন্দ্রীয় সরকারকে চিঠি দেওয়ার বিষয়টিও চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে বলে বৈঠকে জানিয়েছেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে চলে বৈঠক। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে খুশি পূর্বাঞ্চলীয় কুড়মি সমাজের প্রতিনিধিরা। গত কয়েকদিন ধরেই একাধিক দাবি-দাওয়ার ভিত্তিতে জঙ্গলমহলে নতুন করে আন্দোলন শুরু করেছে কুড়মি সম্প্রদায়। ফলে জঙ্গলমহলে রাজনৈতিক উত্তেজনার পারদ অনেকটাই চড়েছে। এদিন বৈঠকের জন্য পূর্বাঞ্চলীয় আদিবাসী কুড়মি সমাজের প্রতিনিধিদের নবান্নে ডেকে পাঠান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে নবান্নে হাজির হন সংগঠনের তিন সদস্য শুভেন্দু মাহাতো, বিজয় মাহাতো এবং সুনীল মাহাতো। সঙ্গে ছিলেন শ্রীকান্ত মাহাতো, শান্তিরাম মাহাতো সহ জঙ্গলমহলের বেশন কয়েকজন বিধায়ক। সূত্রের খবর, বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তিন দফা দাবি পেশ করেন পূর্বাঞ্চলীয় আদিবাসী কুড়মি সমাজের প্রতিনিধিরা। তার মধ্যে যেমন কুড়মি সমাজ উন্নয়ন পর্ষদ নতুন করে গঠনের দাবি রয়েছে, তেমনই কুড়মিদের তফশিলি উপজাতি হিসেবে মর্যাদা দিতে কেন্দ্রকে চিঠি দেওয়ার দাবিও রয়েছে। তাছাড়া পুরুলিয়ার এক সরকারি কলেজের নামকরণ ভারত ছাড় আন্দোলনে শহিদ দুই কুড়মি নেতা চুনারাম মাহাতো এবং গোবিন্দ মাহাতোর নামে করারও আর্জি জানানো হয়। কুড়মি সমাজের দাবিদাওয়া বিবেচনা করে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।