কলকাতা

‘নিজের নামে স্টেডিয়াম করিনি’, সম্মিলনী থেকে মোদি সরকারকে নিশানা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

বিধানসভা ভবানীপুর কেন্দ্রে আজ বিজয়া সম্মিলনীতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । এদিন মঞ্চ থেকেই কেন্দ্রের বঞ্চনার বিরুদ্ধে সরব হলেন নেত্রী। বিজয়া সম্মিলনী থেকে সোমবার নাম না-করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আক্রমণ করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । এ দিন মুখ্যমন্ত্রীর নিজের বিধানসভা কেন্দ্র ভবানীপুরের বিজয়া সম্মিলনীতে উপস্থিত ছিলেন তিনি । সেখানেই নাম না-করে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন মমতা । বললেন, এত বছর রাজনীতি করেছি, এতবারের সাংসদ । চাইলে মোটা পেনশন পেতে পারতাম । আমি কিছুই নিইনি । নিজের নামে স্টেডিয়াম করিনি । রেললাইনও করিনি । তবু নানা কথা বলা হয় । মুখ্যমন্ত্রী এ দিন বলেন, মানুষের জীবন ক্ষণস্থায়ী । কাল আমি মরে গেলে দেখবেন যাঁরা আমাকে গালি দিচ্ছেন তাঁরাই আগে মালা নিয়ে ঢুকছেন। একটাকেও ঢুকতে দেবেন না । আজকে আমি বলে দিয়ে গেলাম । আমি জীবনে কারও দয়া নিয়ে মানুষ হইনি । কারও দয়া চাই না । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন একশো দিনের ৭,০০০ কোটি টাকা বকেয়া, রাজ্যের প্রাপ্য টাকা না দেওয়া নিয়ে নরেন্দ্র মোদিকে নিশানা করলেন তিনি।সোমবার, ভবানীপুরে বিজয়া সম্মিলনী থেকে মোদি সরকারকে আক্রমণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলার বকেয়া নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমি জীবনে কারও দয়া চাই না।” একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নাম না করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “নিজের নামে স্টেডিয়াম বানাই না।“নিজের বিধানসভা কেন্দ্রে বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখান থেকেই তোর দেগে তিনি বলেন, “আমি জীবনে কারও দয়া চাই না। তাই নিজের নামে স্টেডিয়াম বানাই না। আমার পাবলিসিটির প্রয়োজন নেই। আমি নিজের নামে ট্রেন লাইনও করি না, প্রয়োজন নেই।”যে কোনও কৃতিত্বই নিজের দিকে টানতে চায় কেন্দ্রের মোদি সরকার। এবার সেই বিষয়টিকেও কটাক্ষ করেন মমতা। তিনি বলেন, ইসরো কিছু করলেও সেই কৃতিত্ব আদায়ের চেষ্টা করে কেন্দ্রই।এদিন ফের বাংলার বকেয়া নিয়ে সরব হন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, “একশো দিনের কাজে ৭ হাজার কোটি টাকা পায় রাজ্য। কাজ করেও দিনমজুররা অর্থ পাননি। আবাস যোজনার বকেয়া দেয় না কেন্দ্র। উলটে জিএসটির নাম করে সব ট্যাক্স তুলে নিয়ে যায়।“