রাষ্ট্রপতি দৌপদী মুর্মুর হাত থেকে পদ্ম পুরস্কার গ্রহণ করলেন কিংবদন্তি হকি খেলোয়াড় পিআর শ্রীজেশ এবং ক্রিকেটার রবিচন্দ্রন অশ্বিন। পদ্মভূষণ সম্মানে ভূষিত হন শ্রীজেশ। রাষ্ট্রপতি ভবনে ছিল তারাদের মেলা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও উপস্থিত ছিলেন। গত বছর হকি থেকে অবসর গ্রহণ করেন শ্রীজেশ। প্রথমে টোকিও ও পরে প্যারিসে ভারত হকিতে পদক পায়। দুবারই জাতীয় দলের গোল আগলেছিলেন শ্রীজেশ। দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় মুখ অজিত কুমার। তবে মূলত তামিল ছবির জন্য আকাশছোঁয়া খ্যাতি তাঁর। অসংখ্য সিনেমায় অভিনয়ের পাশাপাশি ২২টি পুরস্কার জিতেছেন তিনি। এবার তাঁর মুকুটে জুড়ল পদ্মভূষণ সম্মান। এছাড়া মরণোত্তর পদ্মবিভূষণ সম্মানে ভূষিত অসামু সুজুকি। পদ্মশ্রী পুরস্কার পেলেন সরোদবাদক পণ্ডিত তেজেন্দ্র নারায়ণ মজুমদার। পঞ্চাশ বছরের বেশি সময় ঢাক বাজিয়ে অবশেষে দেশের অন্যতম সেরা সম্মান ‘পদ্মশ্রী’ পেলেন হাবড়া থানার মছলন্দপুর বিধানপল্লীর বাসিন্দা গোকুলচন্দ্র দাস। এছাড়া সাহিত্য ও শিক্ষায় অসামান্য অবদানের জন্য পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত নগেন্দ্রনাথ রায়। শেখর কাপুর একাধারে পরিচালক, অভিনেতা ও প্রযোজক। মাসুম, মি. ইন্ডিয়া বা ব্যান্ডিট কুইনের মতো জনপ্রিয় সিনেমার স্রষ্টা তিনি। ২০০০ সালে তিনি পদ্মশ্রী পুরস্কার পেয়েছিলেন। এবার পদ্মভূষণ সম্মান পেলেন। এছাড়া পদ্মভূষণ পেয়েছেন বিহারের রাজনীতিবিদ সুশীল কুমার মোদি। গজলের জন্য বিখ্যাত ছিলেন পঙ্কজ উদাস। ২০২৪-র ফেব্রুয়ারিতে প্রয়াণ ঘটে। দীর্ঘ চার দশকেরও বেশি সঙ্গীত সাধনার জন্য মরণোত্তর পদ্মভূষণ সম্মানে ভূষিত হন তিনি। রাষ্ট্রপতির হাত থেকে পুরষ্কার গ্রহণ করেন তাঁর স্ত্রী। সঙ্গীত সাধনার জন্য পদ্মশ্রী পেয়েছেন জশপিন্দর নারুলা কউল। দক্ষিণী সিনেমার আরেক জনপ্রিয় মুখ নন্দমুরি বালকৃষ্ণও পদ্মভূষণ পেয়েছেন। এছাড়া পদ্মশ্রী প্রাপকের তালিকায় নাম আছে মমতা শংকর ও গায়ক অরিজিৎ সিংয়ের। বাংলা থেকে পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত শিল্পপতি পবন গোয়েঙ্কা, শিল্পপতি সজ্জন ভজঙ্ক। পাশাপাশি পদ্মশ্রী পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন শতায়ু স্বাধীনতা সংগ্রামী লিবিয়া লোবো সারদেসাই।
