ছত্তিশগড়ের নারায়ণপুর ও দান্তেওয়াড়া সীমান্তে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে কমপক্ষে ২৬ জন মাওবাদীর প্রাণ গিয়েছে ৷ বুধবার সকাল থেকেই যৌথবাহিনীর সঙ্গে মাওবাদীদের সংঘর্ষ শুরু হয়। মাওবাদীদের বিরুদ্ধে ডিআরজি জওয়ানরা বড় অভিযানে নামে ৷ পরে নারায়ণপুরের পুলিশ সুপার প্রভাত কুমার এনকাউন্টারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। পুলিশ সূত্রে খবর, সংঘর্ষে সিপিআই (মাওবাদী) সাধারণ সম্পাদক নাম্বালা কেশব রাও ওরফে বাসব রাজুরও মৃত্যু হয়েছে। এই শীর্ষ মাও নেতার মৃত্যু নিশ্চয় নিরাপত্তা বাহিনীর জন্য বিরাট সাফল্য ৷এদিন সকাল থেকে আবুঝামাদের ঘন জঙ্গলে ডিআরজি (জেলা রিজার্ভ গার্ড) জওয়ান এবং মাওবাদীদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। দু’পক্ষেই একে অপরের উপর গুলি চালাতে থাকে ৷ নারায়ণপুর, দান্তেওয়াড়া, বিজাপুর এবং কোন্ডাগাঁও জেলার ডিআরজি ইউনিটগুলি যৌথভাবে এই অভিযান চালায়। সূত্রের খবর, ডিআরজি-র যৌথ বাহিনী মাওবাদীদের শীর্ষ কমান্ডারদের জঙ্গলে ঘিরে ফেলে। এরপরই বাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় মাওবাদীরা ৷ এনকাউন্টারে 26 জন মাওবাদীর নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণুদেও সাঁই বলেন, “তিনদিন ধরে মাওবাদী অভিযান চলছে। যার মধ্যে মূলত ডিআরজি বাহিনীরা জড়িত। অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সম্পূর্ণ অভিযান সম্পন্ন হওয়ার পরে বিবরণ পাওয়া যাবে। জওয়ানদের সাহসকে স্যালুট।” নারায়ণপুরের পুলিশ সুপার প্রভাত কুমার এনকাউন্টারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ৷ তিনি বলেন, “অভিযান এখনও চলছে ৷ নিহত মাওবাদীদের সংখ্যা সম্পর্কে তথ্য আলাদাভাবে দেওয়া হবে। পুলিশের দাবি, নকশালপন্থী মাড ডিভিশনের একটি বড় ক্যাডারের উপস্থিতির তথ্যের ভিত্তিতে, ডিআরজি দান্তেওয়াড়া, নারায়ণপুর, বিজাপুর এবং কোন্ডাগাঁওয়ের বাহিনী আবুঝামাদে একটি অভিযান চালিয়েছে ৷
