সাতসকালে আতঙ্ক ছড়াল শিয়ালদা দক্ষিণ শাখার বজবজ লাইনের সন্তোষপুর স্টেশনে। মঙ্গলবার সকাল প্রায় 7টা নাগাদ আগুন চোখে পড়ে স্টেশনের ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মে। মুহূর্তের মধ্যেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে প্ল্যাটফর্ম ঘিরে থাকা ছোট-বড় একাধিক দোকানে। প্ল্যাটফর্মে ফুট ওভারব্রিজের আশপাশের জায়গা কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায়। কীভাবে আগুন লাগল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ৪টি ইঞ্জিন ৷ আগুনে ভস্মীভূত দোকানের ভিতরে থাকা সমস্ত সামগ্রীই। চারিদিকে হাহাকার পড়ে যায়। বজবজ-শিয়ালদা রুটে ট্রেন চলাচল ঘণ্টা তিনেক বন্ধ থাকে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পুজোর আগে সর্বস্ব হারিয়ে ফেললেন বহু ব্যবসায়ী ৷ স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আজ সকালে সন্তোষপুর রেল স্টেশনের ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মের কাছে কালো ধোঁয়া দেখতে পান রেলযাত্রীরা। এরপর সেই ধোঁয়া মুহূর্তের মধ্যে রুদ্ররূপ ধারণ করে দাউদাউ করে জ্বলতে থাকে ৷ প্লাটফর্মে থাকা বেশ কয়েক’টি দোকান ভস্মীভূত হয়ে যায়। এরপর ঘটনাস্থলে ছুটে আসে রেল পুলিশ ৷ খবর দেওয়া হয় দমকলকে। দমকলের 4টি ইঞ্জিন বেশ কয়েক ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে দোকানগুলি সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে যায় ৷ পুজোর আগে সর্বস্ব হারিয়ে হাহাকার প্লাটফর্মে থাকা ব্যবসায়ীদের ৷ দমকল আধিকারিক বলেন, “আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে ৷ স্টেশন এলাকায় আসতে বেশ অসুবিধা হয় ৷ আগে পৌঁছেও আগুন নেভানোর জন্য কাছে আসতে পারছিলাম না ৷ কীভাবে আগুন লাগল সে ব্যাপারও এখনও স্পষ্ট নয় ৷” এ বিষয়ে এক ব্যবসায়ী বলেন, “পুজোর আগে অনেক টাকার জিনিস দোকানে রেখেছিলাম। পুজোর সময় সেই জিনিস বিক্রি করে আয় হবে ভেবেছিলাম। কিন্তু সবকিছু শেষ হয়ে গেল। আজ সকালে যখন প্রতিদিনের মতো দোকান খুলতে আসি দেখি পুরো স্টেশন কালো ধোঁয়ায় ভরে গিয়েছে। এরপর তড়িঘড়ি আমি দোকানের কাছে গিয়ে দেখি, সব দাউদাউ করে জ্বলছে ৷ আগুন নেভাতে আসেন দমকলকর্মীরা। পুজোর আগে সব শেষ হয়ে গেল।”


