কলকাতা

সংসদকাণ্ডে বাংলা যোগ! থানায় আত্মসমর্পণ ললিতের

সংসদকাণ্ডে নাম জড়িয়েছে ললিতের। আর তার থেকেও বড় কথা হল ললিত থাকতেন এই কলকাতাতেই। ২১৮ রবীন্দ্র সরণির একটা ঘুপচি ঘরের বন্ধ দরজার সামনে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই সংবাদমাধ্যমের আনাগোনা। কিন্তু ঘর তো তালাবন্ধ। এখানেই থাকতেন ললিত। দেড় বছর আগে। টিউশন পড়াতেন। ভাই ইলেকট্রিকের কাজ করেন।আর বাবা দেবানন্দ ঝা স্থানীয় মন্দিরে দীর্ঘদিন ধরেই পুজো করেন। গিরিশ পার্কের কাছের ওই ঘরে বাচ্চাদের পড়াত ললিত। বিহারের দ্বারভাঙার বাসিন্দা ললিত। কোভিডের পর থেকে ওই ঘরে নিয়মিত আসতেন না ললিত। বাসিন্দারা সকলেই জানতেন ওই ঘরে টিউশন পড়াতেন তিনি। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সন্ধ্যাবেলার দিকে ছাত্রছাত্রীরা আসত। একেবারে পুরানো একটি বাড়ি। সেই বাড়ির একতলাতেই ভাড়া নিয়েছিলেন ললিত। সেখানেই থাকতেন। তবে এলাকার লোকজনের সঙ্গে বিশেষ না মিশলেও একেবারে যে অসামাজিক ছিলেন এমনটা নয়। পাড়াল লোকজন তো রীতিমতো প্রশংসা করছেন ললিতের। কম কথা বলতেন। এলাকায় পরিচিত ছিলেন মাস্টারজী বলেই। এলাকার লোকজনের সঙ্গে দেখা হলেই হাত তুলে নমস্কার। আর সেই ললিতই যে সংসদ কাণ্ডে মূল চক্রী এটা কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারছেন না স্থানীয়রা। তাছাড়া ললিতকে আপাতভাবে সন্দেহ করার মতে কিছুই ছিল না। এলাকায় টিউশন পড়াতেন। ললিতের বাবাকেও বেশ ভালো মানুষ বলেই জানেন স্থানীয়রা। তবে চাকরি বাকরি কিছু করতেন না ললিত। স্বভাবটা বেশ মিষ্টি। কারা আসতেন বাড়িতে সেসব কেউ বিশেষ বলতে পারছেন না। তবে প্রাথমিক তদন্তে দিল্লি পুলিশ জানতে পেরেছে ভগৎ সিং ফ্যানস ক্লাবের মাধ্য়মে বিভিন্ন রাজ্যের যুবক যুবতীরা কাছাকাছি এসেছিলেন। আর সেখানে ছিলেন ললিতও। কলকাতায় কোথায় যেতেন ললিত, কাদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল সবটাই খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে বলে খবর। তবে আর পাঁচজন বেকার যুবক যেমন থাকেন তার সঙ্গে কোনও ফারাক ছিল না ললিতের। সংসদের ঘটনার সঙ্গে ললিতকে মেলাতে পারছেন না অনেকেই। এদিকে ঘটনার পরেই কলকাতার অপর এক যুবক নীলাক্ষ আইচ নামে এক কলেজ ছাত্রকে সংসদের বাইরের ঘটনার ভিডিয়ো পাঠান ললিত। নীলাক্ষর দাবি এপ্রিল মাসে সেন্ট্রাল হলে একটি সেমিনারে ললিতের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল নীলাক্ষর। কিন্তু কলকাতার কোথায় থাকেন ললিত সেটা জানতেন না নীলাক্ষ। দাবি করেছেন নীলাক্ষ। তবে রাতে পাওয়া খবর অনুসারে দিল্লিতে থানায় আত্মসমর্পণ করেছেন ললিত। তিনি রাজস্থানে পালিয়ে গিয়েছিলেন বলে খবর। দিল্লি পুলিশ গ্রেফতার করেছে তাকে