অগ্নিপথ প্রকল্প নিয়ে দেশে জুড়ে বিক্ষোভ জারি। তার মধ্যেই এদিন বৈঠকের জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদির বাসভবনে পৌঁছলেন দেশের তিন বাহিনীর প্রধান। সূত্রের খবর, নতুন ঘোষিত প্রকল্প নিয়ে আলোচনা চলবে। সন্ধের মধ্যেই এদিন মোদির বাসভবনে পৌঁছে গিয়েছেন সেনা বাহিনী প্রধান জেনারেল মনোজ পাণ্ডে, নৌসেনা প্রধান অ্যাডমিরাল হরি প্রধান এবং বায়ুসেনা প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল ভি আর চৌধুরী। একটা বিষয়ে নিশ্চিত, কেন্দ্র কোনও ভাবেই এই প্রকল্প প্রত্যাহার করতে চায় না। আগামী মাস থেকে নিয়োগও শুরু করছে সেনাবাহিনী। সম্প্রতি নাম না করেই মোদি বলেন, ‘অনেক সিদ্ধান্তই শুরুতে খারাপ লাগে। পরে সময় গেলে দেশ তৈরিতে সাহায্য করে এসব সিদ্ধান্ত।’ তিনি এও বলেন, যে এটা ভারতের ‘দুর্ভাগ্য’, যে অনেক ভালো উদ্দেশ্যেই রাজনৈতিক রং চড়ানো হয়। এদিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালও অগ্নিপথ প্রকল্প প্রত্যাহারের কথা অস্বীকার করেন। ‘অগ্নিপথ’ নামে নতুন এই প্রকল্পে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, চার বছরের জন্য জওয়ানদের নিয়োগ করা হবে। ১৭.৫ থেকে ২১ বছর বয়সি তরুণরা নিযুক্ত হবেন। পরে বয়সের ঊর্ধ্বসীমা বাড়িয়ে ২৩ বছর করা হয়েছে। কেন্দ্র জানিয়েছে, কোভিডের কারণে গত দু’ বছর নিয়োগ হয়নি। তাই বহু চাকরিপ্রর্থীর বয়স বেড়ে গিয়েছে। তাদের কথা মাথায় রেখে এই সিদ্ধান্ত। চাকরির সময় ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা বেতন এবং ভাতা পাবেন। চার বছর পর ২৫ শতাংশকে কাজে রেখে বাকিদের ছেঁটে ফেলা হবে। তাঁরা পিএফ বা গ্র্যাচুইটি সুবিধাও পাবেন না। এমনকী পেনশনের ব্যবস্থাও থাকবে না। এতেই চটেছেন দেশের তরুণদের বড় অংশ। যেসব রাজ্য থেকে সেনাবাহিনীতে যোগদানের হার বেশি, সেখানে বিক্ষোভের আগুন জ্বলে উঠেছে। দেশের প্রাক্তন সেনাপ্রধানরাও এই প্রকল্পের বিরোধী। তাঁদের মতে, অস্থায়ী পদে নিযুক্ত জওয়ানদের সীমান্ত রক্ষা বা নিরাপত্তা নিয়ে কোনও দায় থাকবে না। বিপন্ন হতে পারে দেশের নিরাপত্তা।