ক্রাইম জেলা

নাবালিকাকে অপহরণের করে ১ মাস ধরে ধর্ষণ, দোষী যুবককে ২০ বছরের কারাদণ্ড দিল জলপাইগুড়ি পকসো আদালত

নাবালিকাকে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে একমাস ধরে ধর্ষণ ৷ সেই মামলায় নির্যাতিতার নিকট আত্মীয় ছিল অভিযুক্ত ৷ সেই অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে কারাদণ্ড দিল জলপাইগুড়ি পকসো আদালত ৷ বুধবার এই রায় দিয়েছে আদালত ৷ মামলার সরকারি আইনজীবী দেবাশিস দত্ত জানান, বিচারক দোষীকে 20 বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ৷ পাশাপাশি দোষী যুবককে 50 হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে ৷ জরিমানা দিতে না পারলে দোষীকে আরও দু’মাস কারাবাস করতে হবে ৷ তিনি আরও জানান, নির্যাতিতা নাবালিকাকে আর্থিক সাহায্যের নির্দেশও দিয়েছে আদালত ৷ এক্ষেত্রে জলপাইগুড়ি পকসো আদালতের বিচারকের নির্দেশ নির্যাতিতা নাবালিকাকে ৫ লক্ষ টাকা সাহায্য করতে হবে । যে মামলার সাজা ঘোষণা করা হল, সেটি দায়ের হয়েছিল জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ি থানায় ৷ 2021 সালের 29 জানুয়ারি অভিযোগ দায়ের হয় ৷ সেই সময় অবশ্য নাবালিকার পরিবারের তরফে নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করা হয় ৷ পুলিশ তদন্ত শুরু করে ৷ প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পারে যে এক যুবক ওই নাবালিকাকে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়েছে ৷ তদন্তের কাজ আরও কিছুটা এগনোর পর পুলিশ জানতে পারে ধূপগুড়ির একটি বাড়িতে ওই নাবালিকাকে আটকে রাখা হয়েছে ৷ ততদিনে নাবালিকার নিখোঁজ হওয়ার পর একমাস কেটে গিয়েছে ৷ পুলিশ সংশ্লিষ্ট বাড়িতে অভিযান চালিয়ে নাবালিকাকে উদ্ধার করে ৷ গ্রেফতার করা হয় ওই যুবককে ৷ নাবালিকার মেডিক্যাল টেস্ট করাতে গিয়ে দেখা যায় যে সে অন্তঃসত্ত্বা ৷ তখনই ধর্ষণের বিষয়টি সামনে আসে ৷ পরে আদালতে গোপন জবানবন্দি দেওয়ার সময় মেয়েটি জানায়, ছেলেটি তার আত্মীয় ৷ সেই কারণে দু’জনের মধ্যে কথাবার্তা চলত ৷ একদিন ছেলেটিকে ফোন করে দেখা করতে বলে তাকে । মেয়েটি দেখা না করলে তার বাড়ির সামনে আত্মহত্যা করবে বলেও হুমকি দেয় । এরপর সে ছেলেটির সঙ্গে দেখা করে ৷ আদালতে দেওয়া গোপন জবানবন্দিতে মেয়েটি আরও দাবি করে যে সেই সময় একটি ছোট গাড়িতে করে জোর করে তাকে তুলে নিয়ে যায় ছেলেটি । ধূপগুড়ির একটি বাড়িতে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ সেখানেই আটকে রাখা হয় । সেখানেই তাকে বারবার ধর্ষণ করে ওই যুবক ৷