প্রাকৃতিক দুর্যোগে ফের বিধ্বস্ত পাহাড়ে ঘেরা হিমাচল প্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ড ৷ রাতভর ভারী বৃষ্টিতে হিমাচলের মান্ডিতে হড়পা বান এবং ভূমিধসে একই পরিবারের ৩ জনের মৃত্যু ৷ ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়ে যায় আস্ত এক বাসস্ট্যান্ড ৷ মঙ্গলবার মান্ডি জেলার সুন্দেরনগর মহকুমার অন্তর্গত নেহরির বই পঞ্চায়েতে ভূমিধসের নীচে চাপা পড়ে যায় একটি বাড়ি ৷ সেই সঙ্গে ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়েন অনেকে ৷ মান্ডির ডেপুটি কমিশনার অপূর্ব দেবগান জানান, এখনও পর্যন্ত ৩ জনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে ৷ পাশাপাশি ২ জনকে ঘটনাস্থল থেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে ৷ প্রশাসনিক আধিকারিকরা জানিয়েছেন, রাতভর ভারী বৃষ্টির কারণে মান্ডিতে বন্যা পরিস্থিতর সৃষ্টি হয় ৷ জেলার সমস্ত এলাকার ড্রেন ও ছোট নর্দমাগুলিতে জল ভরে যায় ৷ ধরমপুরে বন্যার জলে ঢুবে যায় বাসস্ট্যান্ড ৷ সেই সঙ্গে, জলের তলায় চলে যায় এলাকার পাম্প হাউস, একাধিক দোকান এবং ২০টিরও বেশি বাস ৷ হিমাচলের উপ-মুখ্যমন্ত্রী মুকেশ অগ্নিহোত্রী এই বিষয়ে সোশাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেন ৷ তিনি জানান, হঠাৎ এই বন্যায় ধরমপুর বাসস্ট্যান্ড, ২ ডজনেরও বেশি সরকারি বাস, দোকানঘর, পাম্প হাউস এবং ওয়ার্কশপ জলের তলায় চলে গিয়েছে ৷ সিমলার হিমল্যান্ড এলাকার কাছে ভূমিধসের নীচে চাপা পড়ে গিয়েছে একাধিক গাড়ি ৷ বন্ধ হয়ে গিয়েছে প্রধান রাস্তা ৷ ফলে, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে ৷ মেঘভাঙা বৃষ্টিতে উত্তরাখণ্ডের একই চিত্র ৷ প্রবল বৃষ্টি ও হড়পা বানে বিপর্যস্ত উত্তরাখণ্ডের একাধিক এলাকা ৷ মঙ্গলবার সকালে হড়পা বানে ভেসে গিয়েছে একাধিক বাড়ি, গাড়ি এমনকী ব্রিজও ৷ একাধিক এলাকায় ভূমিধসের ঘটনাও সামনে এসেছে ৷


