ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে সাম্প্রতিক উত্তেজনার আবহে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে ২৭টি বিমানবন্দর বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল বৃহস্পতিবার ৷ দিল্লি বিমানবন্দরেও বাতিল হয়েছে ৯০টি বিমান ৷ বাতিলের তালিকায় আছে পাঁচটি আন্তর্জাতিক বিমানও ৷ পাশাপাশি অন্য বিমানবন্দর গুলিতে প্রায় ৪০০-টি বিমানও এদিন বাতিল হয়েছে ৷ আগামী ১০ মে ভোর সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে ৷ তারপর পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে ৷ এই বিমান পরিষেবা বন্ধের জেরে দেশের মধ্যে এবং আন্তর্জাতিক- দু’ক্ষেত্রেই উড়ান পরিষেবায় বিরাট প্রভাব পড়বে ৷ এয়ার ইন্ডিয়া, এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস, স্পাইসজেট, ইন্ডিগো, আকাশা এয়ার এবং কিছু বিদেশি বিমান সংস্থা তাদের প্রায় ৪০০টি ফ্লাইট বাতিল করেছে। অপারেশন সিঁদুরের পর বন্ধ করা হল বেশ কয়েকটি বিমানবন্দর ৷ শ্রীনগর, জম্মু, অমৃতসর, লেহ, চণ্ডীগড়, ধর্মশালা, বিকানের, যোধপুর, গোয়ালিয়র, কিশানগড়, রাজকোট এবং হিন্দন এয়ারবেস সহ মোট ২৭টি বিমানবন্দর বন্ধ ৷ পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর থেকে ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা বেড়েছে ৷ পর্যটকদের হত্যার পাল্টা পাক অধিকৃত কাশ্মীর এবং পাকিস্তানের জঙ্গিঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্রের সাহায্যে হামলা চালিয়েছে ভারত ৷ মঙ্গলবার রাতের এই ঘটনার পর বুধবার ভারতের কয়েকটি সেনা ছাউনিতে হামলা চালানোর চেষ্টা করে পাকিস্তান ৷ তারাও ক্ষেপণাস্ত্রের সাহায্য় নেয় ৷ তবে ভারতীয় বাহিনী তাদের কাছে থাকা অত্যাধুনিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে কাজে লাগিয়ে সেই হামলার ছক বানচাল করে দেয় ৷ পাল্টা লাহোরের পাকিস্তানের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম তছনছ করে দেয় ভারত ৷ এমন উত্তেজনার আবহে পাকিস্তানের আশপাশে থাকা বেশ কয়েকটি বিমান বন্দর বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ৷ রাজধানী দিল্লির বিমানবন্দরেও তার প্রভাব পড়ল ৷
