হক জাফর ইমামঃ স্টেট সার্ভিসে চাকরির ক্ষেত্রে স্থানীয়দের আগ্রাধিকার দিতে হবে। তাদের জানতে হবে আঞ্চলিক ভাষা। মালদা প্রশাসনিক বৈঠকে জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে বিষয়টি খতিয়ে দেখারও নির্দেশও দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রায়ই অভিযোগ ওঠে যে, প্রশাসনের বিভিন্ন পদে কর্মরত বহু আধিকারিকই বাংলা ভাষা তেমন জানেন না। ফলে মাঠে-ময়দানে কাজ করতে বা স্থানীয়দের মতামত জানতে তাঁদের সমস্যা হয়। ফলে জটিল হয় পরিস্থিতি। সমস্যা সমাধানে উদ্যোগী হলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। বাতলে দিলেন সমাধান সূত্র। কর্মসংস্থানের সময় যেন সেই রাজ্যের লোকেরাই চাকরি পান সেদিকটি তুলে ধরেন তিনি। মালদার প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলা হলে বাংলা রাজ্যের জন্য। বাংলায় যাঁরাই বাস করুন। ভাষায় তিনি রাজবংশী হতে পারেন, কামতাপুরি হতে পারেন। আবার
হিন্দি হতে পারে, আমার কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু বাংলা ভাষাটা জানতে হবে। তাঁর ঠিকানাও বাংলায় হতে হবে। বিহারে বিহারের লোকেরা পাবেন। উত্তরপ্রদেশে উত্তরপ্রদেশের লোকেরা পাবেন। আমি সব রাজ্যের জন্যই বলছি। সব রাজ্যেই সেই রাজ্যের ছেলেমেয়েরা যাতে কাজের সুযোগ পান তা দেখতে হবে।’ তবে এই ঘোষণা, কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে নয়, শুধু রাজ্যের চাকরির ক্ষেত্রেই কার্যকরী হতে পারে বলে সাফ জানিয়েদিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘রাজ্য সার্ভিসের ক্ষেত্রে যে কমিশন আছে, সেখানে রাজ্যের অন্য জায়গা থেকে এসে ভালো নম্বর থাকায় কেউ চাকরি পেয়ে গেলেন। কিন্তু স্থানীয় ছেলেমেয়েরা পেলেন না। কারণ তাঁর থেকে নম্বরটা কম। ফলে ভিন রাজ্যের প্রার্থী যখন সরকারের কোনও জায়গায় গিয়ে কাজ করছেন তখন কিন্তু তিনি স্থানীয় ভাষাটা জানেন না। আর এতেই অসুবিধা হচ্ছে।’ ফলে সমস্যা সমাধানে সরকারিস্তরে কেই যখন কোথাউ কাজ করবেন, সেখানকার স্থানীয় ভাষা জানা তাঁকে জানতে হবে।