একটি ১৪ বছর বয়সী দলিত মেয়েকে তার বাড়ি থেকে অপহরণ করা হয়েছে, বিহার মুজাফফরপুর জেলায় গণধর্ষণ ও হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে, যা বিহারের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিতে চিহ্নিত করেছে। নবম শ্রেণির ড্রপআউট মেয়েটিকে রবিবার রাতে তার বাবা-মায়ের উপস্থিতিতে পারু থানা এলাকায় তার বাড়ি থেকে জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। সোমবার একটি পুকুরে নগ্ন অবস্থায় তার লাশ পাওয়া যায়। তার মুখ বাধা ছিল কাপড় দিয়ে এবং তার শরীরের অর্ধশতাধিক স্থানে ছিল গভীর ক্ষত ছিল। কেটে নেওয়া হয়ে ছিল তার স্তন। তাকে নির্মমভাবে পিটিয়ে এবং তার গোপনাঙ্গে একাধিকবার ছুরি মেরে হত্যা করা হয়েছিল । “রবিবার রাতে সঞ্জয় রাই নামে এক ব্যক্তিসহ ৫জন আমার মেয়েকে ধর্ষণের হুমকি দিয়ে অপহরণ করে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। ভয়ে আমরা কিছুই করতে পারিনি। আমরা পরের দিন সকালে আমাদের গ্রামের বাইরে একটি পুকুরে তার লাশ দেখতে পাই,” মেয়েটির মা সাংবাদিকদের বলেন। তিনি এও জানান, মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রাই বিবাহিত। ওই মহিলা জানান, ইতিমধ্যেই মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রাই তাঁর মেয়েকে বিয়ে করার জন্য উত্ত্যক্ত করছিলেন। আমরা প্রত্যাখ্যান করলে সে তাকে হত্যার হুমকি দেয়”। অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতার করা না হলে বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা পারু থানায় বিক্ষোভ শুরু করার এবং রাস্তা অবরোধ করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে। পাঁচ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়েছে। মুজাফফরপুরের সিনিয়র পুলিশ সুপার রাকেশ কুমার জানান, “মৃত মেয়েটির শরীরে একাধিক গভীর আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। আমরা ফরেনসিক দল এবং ডগ স্কোয়াডের সাহায্যে প্রমাণ সংগ্রহ করেছি। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি খুরপি উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চালানো হচ্ছে,” । জানা গেছে, নৃশংসরা মেয়েটিকে গণধর্ষণ করে কেটে নেওয়া হয়ে ছিল তার স্তন এবং একাধিক বার ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে। নাবালিকার গোপনাঙ্গে ৫০ বারের বেশি ছুরিকাঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। মেয়েটির শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরি দিয়ে ট্যাটু করার চিহ্ন পাওয়া গেছে। পুলিশ মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য এসকেএমসিএইচে পাঠিয়েছে। এফএসএল দল ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করেছে এবং তদন্ত করছে। ছয় ভাইবোনের মধ্যে মেয়েটি ছিল সবার ছোট। মেয়েটি একটি সরকারি স্কুলে নবম শ্রেণীতে ভর্তি হয়, কিন্তু আর্থিক অনটনের কারণে সে পড়াশোনা ছেড়ে দেয়। বহুজন সমাজ পার্টির জেলা ইনচার্জ বিজয় কুমার বলেছেন যে দলিত মেয়েটিকে গণধর্ষণ করার পর স্থানীয় সন্ত্রাসী সঞ্জয় ও তার সহযোগীরা নির্মম অত্যাচার চালিয়ে খুন করেছে। পরিবারের সদস্যদের দাবি, আসামিদের গ্রেফতার করে দ্রুত বিচার ও কঠোরতম শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।