পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কার্যত যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে । এই প্রেক্ষিতে বুধবার গোটা দেশজুড়ে নিরাপত্তা মহড়া (মক ড্রিল) অনুষ্ঠিত হতে চলেছে । যার মধ্যে রয়েছে এ রাজ্যের মোট 31টি জায়গা । পশ্চিমবঙ্গ সরকার এই বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করেছে । সূত্রের খবর, বুধবার নবান্ন থেকেই মুখ্যমন্ত্রী, মুখ্যসচিব এবং অন্যান্য শীর্ষ আধিকারিকেরা এই নিরাপত্তা মহড়ার উপর নজরদারি চালাবেন । মঙ্গলবার নবান্নে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যের নাগরিক সুরক্ষা মন্ত্রী জাভেদ আহমেদ খান বলেন, “অকারণে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই । রাজ্য সরকার যেকোনও অবাঞ্ছিত পরিস্থিতির মোকাবিলায় প্রস্তুত । রাজ্যের নাগরিক সুরক্ষা বিভাগ দেশের মধ্যে অন্যতম দক্ষ । সিভিল ডিফেন্স, এনডিআরএফ-এর প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত । প্রতিটি জেলায় রয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা দফতর । কন্ট্রোল রুমের পরিকাঠামো অত্যন্ত শক্তিশালী ।” মন্ত্রী আরও জানান, সিভিল ডিফেন্সে পর্যাপ্ত প্রশিক্ষিত কর্মী রয়েছেন । কিউআরটি-র গাড়িতে রয়েছে জেনারেটর, দড়ি, জাল, কাঠ কাটার যন্ত্র-সহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম । কলকাতায় রয়েছে ৮ হাজার, গোটা রাজ্যে ৫১ হাজার প্রশিক্ষিত সিভিক ভলান্টিয়ার, ১৫০০ কর্মী এবং ৭২০০ আপদ মিত্র । রাজ্যের সমস্ত সাইরেনের কার্যকারিতা খতিয়ে দেখা হচ্ছে । প্রতিটি জেলায় রয়েছে স্যাটেলাইট ফোন । স্কুল স্তর থেকেই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে । রাজ্যের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ ইতিমধ্যেই তিনবার জাতীয় পুরস্কার পেয়েছে । জাভেদ খান আরও বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও মুখ্যসচিব ডঃ মনোজ পন্ত স্বয়ং পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন । এই সরকার জনগণের দ্বারা, জনগণের জন্য । আমরা চাই না কোনও অবাঞ্ছিত ঘটনা ঘটুক । কেন্দ্রের নির্দেশ ও গাইডলাইন অনুযায়ী সব ব্যবস্থা নেওয়া হবে । মানুষ সুরক্ষিত হাতেই রয়েছেন, চিন্তার কোনও কারণ নেই ।”
