দেশ

Caste Census : জাতিভিত্তিক গণনায় সবুজ সঙ্কেত দিল মোদি সরকার

কংগ্রেস দুষে জাতিভিত্তিক জনগণনার দাবি মেনে নিল কেন্দ্রের বিজেপি সরকার ৷ মঙ্গলবার মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর বিকেলে কেন্দ্রীয় রেল ও তথ্য-সম্প্রচার মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তটি জানান ৷ তিনি জানান, মন্ত্রিসভার রাজনৈতিক বিষয়ক কমিটি (ক্যাবিনেট কমিটি অন পলিটিক্যাল অ্যাফেয়ার্স, সিসিপিএ) এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ৷ পরবর্তী জনগণনায় জাতিভিত্তিক গণনাকেও অন্তর্ভুক্ত করা হবে ৷ চলতি বছরের শেষে বিহারে বিধানসভা নির্বাচন ৷ রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে বিহারের রাজনীতিতে জাতিকে কেন্দ্র করে তৈরি হওয়া সমীকরণের বিশেষ তাৎপর্য আছে ৷ সেদিক থেকে জাতিভিত্তিক গণনার ঘোষণা সবদিক থেকেই বিশেষ ৷ আর তাছাড়া কংগ্রেস-সহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি বারবার এই দাবি তুলেছে ৷ এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার ৷ এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন তিনি ৷ মুখ্যমন্ত্রী জানান, দীর্ঘদিন ধরে জাতিভিত্তিক জনগণনার পক্ষে সওয়াল করে আসছিলেন ৷ শেষমেশ কেন্দ্রীয় সরকার এই সিদ্ধান্ত নেওয়ায় তিনি খুশি ৷ এর ফলে সমাজের পিছিয়ে পড়া জাতির উন্নয়নের জন্য রূপরেখা তৈরির কাজ আরও ভালোভাবে করা সম্ভব বলে তাঁর অভিমত ৷ এদিন ক্যাবিনেটের সিদ্ধান্ত জানানোর সময় কংগ্রেসকে আক্রমণ করে অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, “কংগ্রেস সবসময় জাতিভিত্তিক জনগণনার বিরোধিতা করেছে ৷ 2010 সালে প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ডঃ মনমোহন সিং লোকসভায় জানিয়েছিলেন, জাতিভিত্তিক জনগণনা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে মন্ত্রিসভা ৷ এর জন্য একদল মন্ত্রীকে নিয়ে একটি বিশেষ দল গঠন করা হয় ৷ কিন্তু তারপরও কিছু হয়নি ৷ বেশিরভাগ রাজনৈতিক দলই জাতিভিত্তিক জনগণনার প্রস্তাব দিয়েছিল ৷ এরপরেও কংগ্রেস সরকার জাতিভিত্তিক জনগণনার পরিবর্তে শুধুমাত্র জাতির বিষয়ে একটি সমীক্ষা করেন ৷ তার নাম সোশিও ইকোনমিক কাস্ট সেনসাস (এসইসিসি) ৷ এখানেই পরিষ্কার, কংগ্রেস এবং তাদের ইন্ডিয়া জোট এই জাতিভিত্তিক জনগণনাকে একটি রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করেছে ৷” কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী আরও উল্লেখ করেন, “ভারতীয় সংবিধানের 246 নম্বর ধারা অনুযায়ী জনগণনা বা আদমশুমারি সপ্তম শিডিউল-এর ইউনিয়ন লিস্টের 69 নম্বরে বলা হয়েছে ৷ তাই সংবিধান অনুযায়ী জনগণনা কেন্দ্রীয় বিষয় ৷” কেন্দ্রীয় সরকারের বিষয় হওয়া সত্ত্বেও দেশের একাধিক রাজ্য নিজের মতো করে জাতিভিত্তিক সমীক্ষা চালিয়েছে ৷ এই প্রসঙ্গে অশ্বিনী বলেন, “কয়েকটি রাজ্য নিয়ম মেনে জাতিভিত্তিক সমীক্ষা করেছে ৷ কিন্তু অন্য কয়েকটি রাজ্য রাজনৈতিক বিষয়কে প্রাধান্য দিয়ে এই সমীক্ষা সম্পন্ন করেছে ৷ তাদের এই সমীক্ষা স্বচ্ছ নয় ৷ ওই সমীক্ষা সমাজে সন্দেহ ছড়াতে পারে ৷ রাজনীতির মাধ্যমে সামাজিক বিন্যাস যেন নষ্ট না হয় ৷ সেটা আমাদের দেখতে হবে ৷”