নন্দীগ্রামে যখন ভোটগ্রহণ ঘিরে উত্তাল পরিস্থিতি পরিদর্শনে বেরিয়ে পড়েছেন তৃণমূল নেত্রী, সেই সময়েই জয়নগরে নির্বাচনী প্রচারে এসে তাঁর উদ্দেশে কড়া আক্রমণ শানালেন নরেন্দ্র মোদি। একুশের ভোটে ২০০–র বেশি আসন পাওয়ার দাবি করে ‘আত্মবিশ্বাসী’ মোদি বললেন, ‘প্রথম দু’দফাতেই খেলা শেষ তৃণমূলের’। বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দফায় চার জেলার ৩০ আসনে ভোট গ্রহণ চলছে রাজ্যে। কিন্তু সকলের নজরে রয়েছে ‘বাংলার আন্দোলনভূমি’ নন্দীগ্রাম। সেখানে সম্মুখসমরে মমতা ব্যানার্জি এবং তাঁর ‘পুরনো সৈনিক’ শুভেন্দু অধিকারী। সকাল থেকে নন্দীগ্রামের নানা জায়গা থেকে উত্তপ্ত পরিস্থিতির খবর আসতে শুরু করেছে। সাধারণত ভোটের দিন গৃহবন্দিই থাকেন মমতা ব্যানার্জি। কিন্তু এবার সেই ‘রীতি–রেওয়াজ’ ভুলে মাঠে নেমে পড়েছেন তিনি। বয়ালে বিজেপির বিরুদ্ধে ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ তুলে নির্বাচন কমিশনের ভোট পরিচালনার সমালোচনা করেছেন তৃণমূল নেত্রী। আর এদিন জয়নগরের সভা থেকে মমতাকে কড়া আক্রমণ শানিয়ে মোদি বলেন, ‘দিদি ঘাবড়ে গিয়ে আগেই ইভিএমের দোষ দিয়েছেন। জয় শ্রীরাম স্লোগানে তাঁর সমস্যা। দুর্গা বিসর্জন নিয়েও তাঁর সমস্যা। এখন কপালে তিলক দেখলেও রেগে যাচ্ছেন দিদি। উত্তর প্রদেশ, বিহার সম্পর্কে তিনি যা মন্তব্য করছেন, তাতে তাঁর রাজনৈতিক বোধ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে’। নিমতা কাণ্ড নিয়েও মমতাকে নিশানা করে মোদি বলেছেন, ‘শোভা দেবীর মৃত্যুতে গভীর শোকপ্রকাশ করছি। অবাক লাগে, এত অত্যাচারের পরেও দিদি কুল কুল বলেন। দিদি তৃণমূল কুল নয়, বাংলার মানুষের কাছে শূল। বাংলার মানুষের কাছে তৃণমূল অত্যাচারের শূল। দিদি, আপনাকে হত্যার হিসেব দিতে হবে।’ শাসক দলকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, ‘রক্তের খেলা আর চলবে না। অত্যাচারের খেলা চলবে না।মোদি বলেন, ‘যশোরেশ্বরী মন্দির পুজো দিতে গিয়েছিলাম, তাতেও দিদির আপত্তি। ওড়াকান্দিতে গিয়ে মানুষের আশীর্বাদ নিয়েছি, তাতেও দিদির আপত্তি।’ ক্ষমতায় এলে কৃষকদের ১৮ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে মোদি বলেন, ‘দিদির জন্য বাংলায় কৃষকরা পিএম কিসান সম্মান নিধি পাননি। সারা দেশে ১০ কোটি কৃষক টাকা পেয়েছে। সেখানে কোনও কাটমানি নেই। সরাসরি টাকা ঢুকেছে, কিন্তু দিদি বাংলার কৃষকদের এই প্রকল্পের লাভ পেতে দেননি। কেন্দ্র সরকার কৃষকদের নাম, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট চেয়ে গিয়েছে। কিন্তু দিদি কিচ্ছু দেননি।’