দেশ

মালেগাঁও বিস্ফোরণ মামলায় বিজেপি নেত্রী তথা প্রাক্তন সাংসদ প্রজ্ঞার মৃত্যুদণ্ড চাইল NIA

বিজেপি নেত্রী তথা প্রাক্তন সাংসদ সাধ্বী প্রজ্ঞা সিং ঠাকুরের জন্য খারাপ খবর। ২০০৮ সালের মালেগাঁও বোমা বিস্ফোরণ মামলায় সাত অভিযুক্তের সকলের বিরুদ্ধেই বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইনের (ইউএপিএ) ধারা ১৬-এর অধীনে মৃত্যুদণ্ড-সহ সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদানের জন্য মুম্বইয়ের একটি বিশেষ আদালতের কাছে আবেদন জানিয়েছে জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ)। সোমবার মামলা সংক্রান্ত প্রায় ১৪০০ পাতার বিস্তারিত রিপোর্ট জমা পড়েছে বিশেষ এনআইএ আদালতে। বিচারক এ কে লাহোটি সেই রিপোর্ট জমা নিয়েছেন। আগামী ৮ মে এই মামলার রায় ঘোষণা করা হবে। মামলাটি ২০০৮ সালের ২৯শে সেপ্টেম্বর নাসিক জেলার সাম্প্রদায়িকভাবে সংবেদনশীল শহর মালেগাঁওয়ে একটি মোটরসাইকেল বিস্ফোরণের সঙ্গে সম্পর্কিত। ওই বিস্ফোরণে ছয়জন মুসলিম নিহত এবং ১০০ জনেরও বেশি আহত হন। প্রায় ১৭ বছর ধরে চলে আসছে তদন্ত। সাধ্বী প্রজ্ঞা ছাড়াও, অন্যান্য অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল প্রসাদ পুরোহিত, সুধাকর দিবেদী, অবসরপ্রাপ্ত মেজর রমেশ উপাধ্যায়, অজয় ​​রাহিরকর, সুধাকর চতুর্বেদী এবং সমীর কুলকার্নি। বর্তমানে সকলেই জামিনে মুক্ত। এরা সকলেই হিন্দুত্ববাদী আদর্শের সঙ্গে যুক্ত বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসাবে বিস্ফোরণের পরিকল্পনা ও সম্পাদনের অভিযোগে অভিযুক্ত। এর আগে এনআইএ পর্যাপ্ত প্রমাণের অভাবে সাধ্বী প্রজ্ঞাকে এই মামলা থেকে অব্যহতি দিয়েছিল। তদন্ত চলাকালীন ৩২৩ জন সাক্ষীর বয়ান নেওয়া হয়েছিল। পরে ৩৪ জন নিজেদের বয়ান পাল্টে ফেলেন। মামলাটিতে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের অভিযোগ উঠেছে। প্রাক্তন বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর রোহিনী সালিয়ান পূর্বে বলেছিলেন, “নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পর, আমাকে সাধ্বী প্রজ্ঞা এবং অন্যদের বিরুদ্ধে নরম হতে বলা হয়েছিল। আমি তা করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলাম। সেই কারণেই আমাকে পদত্যাগ করতে হয়েছিল।” মালেগাঁও বিস্ফোরণ ছিল প্রথম সন্ত্রাসী ঘটনাগুলির মধ্যে একটি যেখানে দক্ষিণপন্থী হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠীগুলিকে সন্দেহভাজন হিসেবে নামকরণ করা হয়েছিল। মামলাটি প্রাথমিকভাবে মহারাষ্ট্রের সন্ত্রাসবিরোধী স্কোয়াড দ্বারা তদন্ত করা হয়েছিল। ২০১১ সালে তদন্তভার নেয় এনআইএ। ২০১৬ সালে চার্জশিট পেশ করা হয়।