বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সদস্য তথা লরেন্স বিষ্ণোইয়ের ভাই অনমোল বিষ্ণোইকে গ্রেফতার করল ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ) ৷ আমেরিকার ট্রাম্প প্রশাসন অনমোল-সহ তিনজনকে ভারতে প্রত্যর্পণ করেছে ৷ মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী ও এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকীর হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত অনমোল ৷ এর পাশাপাশি আরও একাধিক ঘটনায় তার নাম জড়িয়েছে ৷ বুধবার নয়াদিল্লির ইন্দিরা গান্ধি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের পরপরই তাদের গ্রেফতার করে এনআইএ ৷ এরপর বিকেল ৫টা নাগাদ অনমোলকে পাতিয়ালা হাউজ কোর্টে পেশ করা হয় ৷ এনআইএ তাকে ১৫ দিনের জন্য হেফাজতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানিয়েছিল ৷ বিশেষ বিচারক প্রশান্ত শর্মা অনমোল বিষ্ণোইয়ের ১১ দিনের হেফাজত মঞ্জুর করেছেন ৷ আদালত চত্বর কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে ৷ এমনকী মোতায়েন করা হয়েছে ব়্যাফও ৷ অনমোলের দাদা কুখ্যাত গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই বর্তমানে আমেদাবাদের সবরমতী সেন্ট্রাল জেলে বন্দি ৷ তার নেতৃত্বে জঙ্গি-সিন্ডিকেটে জড়িত থাকার অভিযোগে ভাই অনমোলকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ এই জঙ্গি-সিন্ডিকেট মামলায় 19তম অভিযুক্ত হিসেবে অনমোলকে গ্রেফতার করেছে এনআইএ ৷ এছাড়া পঞ্জাবি গায়ক সিধু মুসেওয়ালার হত্যা থেকে সলমনের বাড়ির সামনে একের পর গুলি চালানোর ঘটনার মতো একাধিক ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে বিষ্ণোই গ্যাংয়ের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য অনমোলের বিরুদ্ধে ৷ ২০২২ সালের মে মাসের শেষ দিকে খুন হন পঞ্জাবি গায়ক সিধু মুসেওয়ালা ৷ সে রাজ্যের মানসা জেলায় তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় অজ্ঞাত পরিচয় বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী ৷ এই ঘটনার মাত্র একদিন আগে তাঁর নিরাপত্তা প্রত্যাহার করে নিয়েছিল পঞ্জাবের আপ সরকার ৷ ২০২৩ সালের মার্চ মাসে এই হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে অনমোল বিষ্ণোইয়ের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করে এনআইএ ৷ এই চার্জশিটে এনআইএ জানিয়েছে, মুসাকে খুনে অনমোল বিষ্ণোই আরেক গ্যাংস্টার গোল্ডি ব্রারকে সক্রিয়ভাবে সাহায্য করেছে ৷ এছাড়া ২০২০-২০২৩ সাল, ৩ বছর ধরে দেশজুড়ে একাধিক সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত ছিল অনমোলের ভাই লরেন্স ৷ তদন্তকারী সংস্থা জানিয়েছে, আমেরিকায় বসে লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের বিভিন্ন সদস্যের সঙ্গে একযোগে নানাবিধ জঙ্গি সিন্ডিকেট চালিয়ে গিয়েছে অনমোল ৷ গত বছর অক্টোবরে মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী এবং এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকিকে খুনের ঘটনায় অনমোলের সন্ধান করছিল পুলিশ ৷


