বাজেটে প্রতিরক্ষা মন্ত্রককে বরাদ্দ করা হয়েছে ৬.৮১ লক্ষ কোটি টাকা। গত বছর বাজেটে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক পেয়েছিল ৬.২ লক্ষ কোটি টাকা। অর্থাৎ, গত বছরের তুলনায় ৯.৫৫ শতাংশ বেড়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বাজেট বরাদ্দ। বরাদ্দ হওয়া ৬.৮১ লক্ষ কোটি টাকার মধ্যে ১.৬ লক্ষ কোটি টাকাই বরাদ্দ পেনশন খাতে। কাজেই প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বাজেট বরাদ্দ আহামরি কিছু বাড়ল না। ২০২৫-২৬ সালের জন্য যে জিডিপি অনুমান করা হয়েছে, তার মাত্র ১.৯ শতাংশ বরাদ্দ করা হয়েছে প্রতিরক্ষা খাতে। কিন্তু বর্তমানে ভারতকে মোকাবিলা করতে হচ্ছে দ্বিমুখী হুমকির। চিনের সঙ্গে সম্পর্ক অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে আসলেও, বেজিংকে কোনও ভরসা নেই। অন্যদিকে পশ্চিম সীমান্তে ওত পেতে রয়েছে পাকিস্তান। এই দ্বিমুখী হুমকির মোকাবিলা করতে জিডিপির অন্তত ২.৫ শতাংশ প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ করা প্রয়োজন বলে দাবি সামরিক বিশেষজ্ঞদের। ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকীকরণের জন্য ‘ক্যাপিটাল এক্সপেনডিচার’ বা রাজস্ব ব্যয় বরাদ্দ হয়েছে ১.৮ লক্ষ কোটি টাকা। গত অর্থবর্ষে বরাদ্দ ছিল ১.৭২ লক্ষ কোটি টাকা। অর্থাৎ, মাত্র ৪.৬ শতাংশ বরাদ্দ বৃদ্ধি হয়েছে। যদিও গত বছরের বরাদ্দ থেকে ১২,৫০০ কোটি টাকা খরচ করতে না পেরে ফিরিয়ে দিয়েছিল মন্ত্রক। সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকীকরণ, উন্নত অস্ত্র, সামরিক সরঞ্জাম কেনার জন্য বাজেট বরাদ্দের টাকা ব্যবহার করা হবে। অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান, সাবমেরিন এবং ড্রোন কেনার পাশাপাশি, সশস্ত্র বাহিনীর পরিকাঠামো উন্নয়নে ব্যবহার করা হবে। এ দিনের বাজেট বরাদ্দ নিয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেছেন, ‘প্রতিরক্ষা বাহিনীর জন্য ১,৮০,০০০ কোটি টাকার মূলধন ব্যয় আমাদের প্রতিরক্ষা বাহিনীর আধুনিকীকরণ, প্রযুক্তিগত অগ্রগতি এবং সক্ষমতা বাড়াতে আরও সহায়তা করবে।’ তবে যাবতীয় আধুনিকীকরণের কাজ অত্যন্ত মন্থর গতিতে হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এ দিকে, যুদ্ধবিমান, সাবমেরিন, হেলিকপ্টার থেকে শুরু করে উন্নত মানের যুদ্ধ বিমান প্রতিরোধী ক্ষেপণাস্ত্র, ট্যাঙ্ক-বিধ্বংসী গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্র এবং রাতে যুদ্ধ করার সক্ষমতা-সহ বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে ঘাটতি রয়েছে সশস্ত্র বাহিনীর। সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের বেতন, সামরিক সরঞ্জাম রক্ষণাবেক্ষণ, গোলাবারুদ রক্ষণাবেক্ষণের মতো বাহিনীর নিত্যদিনের খরচ চালানোর জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ৩.১১ লক্ষ কোটি টাকা। ২০২৪ সালের বাজেটে এই খাতে বরাদ্দ করা হয়েছিল ২.৮৩ লক্ষ কোটি টাকা।
