জেলা

মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে উত্তর ২৪ পরগনার টাকিতে ইছামতীর তীরেই গড়ে উঠবে পর্যটক আবাস

উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় পর্যটনের অন্যতম ক্ষেত্র টাকি। এবার সেখানে দুই একরের বেশি জায়গায় একটি বিলাসবহুল পর্যটক আবাস তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য পর্যটন দপ্তর। ইতিমধ্যেই দপ্তরের পক্ষ থেকে জমি চিহ্নিত করা হয়েছে। চূড়ান্ত পরিদর্শন হবে আগামী সপ্তাহেই। উপস্থিত থাকবেন রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন, সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামী সহ অন্য প্রশাসনিক কর্তারা। ইছামতী নদীর তীরে টাকিতে বছরের অধিকাংশ সময়ে পর্যটকদের ঢল নামে। নতুন বছরের শুরুতেই শীতের আমেজ উপভোগ করতে টাকিতে আসেন দূরদূরান্তের হাজার হাজার মানুষ। কম সময়ে ও অল্প খরচেই কলকাতা থেকে কাছে কোথাও ঘুরতে যেতে চাইলে পর্যটকদের তালিকায় অবশ্যই থাকে টাকি। শিয়ালদহ থেকে হাসনাবাদ লোকাল ধরে দু’ঘণ্টার মধ্যে পৌঁছে যাওয়া যায় টাকি স্টেশনে।  সেখান থেকে টোটোতে পাঁচ মিনিটের মধ্যেই পৌঁছনো যায় ইছামতী নদীর তীরে। এখানে এসে স্বাভাবিকভাবেই পর্যটকদের বিশেষ আকর্ষণের জায়গা থাকে উল্টোদিকে বাংলাদেশ। পরপর ভ্রমণ করা যায় পুবের বাড়ি, রাজবাড়ি, ম্যানগ্রোভ থেকে মিনি সুন্দরবন। এছাড়াও রয়েছে ৪০০ বছরের পুরনো জমিদার বাড়ি। আবার ইছামতী নদীবক্ষে বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলার গা ঘেঁষে যেতে পারেন ইছামতী, কালিন্দী ও বিদ্যাধরী– এই তিন নদীর মোহনায়। এবার এই পর্যটন কেন্দ্রে বিলাসবহুল আবাসন গড়তে ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং। গত বিধানসভা অধিবেশন চলাকালীন তিনি এই বিষয়টি নিয়ে নির্দেশ দেন। তারপরই তৎপর পর্যটন দপ্তর। এনিয়ে সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামী বলেন, জেলা প্রশাসন ইতিমধ্যেই খাস দুই একরের বেশি জমি পর্যটন দপ্তরকে দিয়েছে। সেই মতো সমীক্ষা হয়েছে। আগামী সপ্তাহেই মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন আসবেন। আমরাও গিয়ে চূড়ান্তভাবে সব দিক খতিয়ে দেখব। মুখ্যমন্ত্রীর ইচ্ছামতো দ্রুত কাজ হবে। এই বিলাসবহুল আবাসনে মানুষ আনন্দের সঙ্গে ক’টা দিন কাটাতে পারবেন।