দেশ

রাজ্যসভার চেয়ারম্যান ধনকড়ের অপসারণের দাবিতে অনাস্থা প্রস্তাব আনল বিরোধী দলগুলি

রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনকড়ের অপসারণের দাবিতে সংসদের উচ্চকক্ষে আস্থা ভোটের নোটিশ দিল বিরোধী দলগুলি ৷ চেয়ারমান রাজ্যসভার কাজকর্ম পরিচালনায় পক্ষপাত করছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন বিরোধীরা সাংসদরা ৷ মঙ্গলবার কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জয়রাম রমেশ এবং নাসির হুসেন উচ্চকক্ষের মহাসচিব পিসি মোদির কাছে এই নোটিশ জমা দেন ৷ সূত্রের খবর, ‘ইন্ডিয়া’ ব্লকের কংগ্রেস, আরজেডি, তৃণমূল, সিপিআই, সিপিআই-এম, জেএমএম, আপ, ডিএমকের সাংসদরা এই নোটিশে স্বাক্ষর করেছেন৷ যদিও কংগ্রেসের কয়েকজন শীর্ষ নেতা রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবিতে আনা আস্থা ভোটের নোটিশটিতে স্বাক্ষর করেননি ৷ কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে, দলের সংসদীয় কমিটির চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধি এবং বিভিন্ন বিরোধী দলের কয়েকজন সংসদীয় দলনেতা এই তালিকায় রয়েছেন বলে সূত্রে জানা গিয়েছে ৷ সংসদের শীতকালীন অধিবেশন শুরু হয় ২৫ নভেম্বর ৷ প্রথম থেকেই আদানি-সহ একাধিক ইস্যুতে আলোচনার দাবিতে উত্তাল হয় সংসদের দুই কক্ষ ৷ কংগ্রেসের নেতৃত্বে আনা এই নোটিশটি এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছেন কংগ্রেসের মিডিয়া ইনচার্জ জয়রাম রমেশ ৷ তিনি জানান, “রাজ্যসভার সম্মানীয় চেয়ারম্যান জগদীপ ধনকড়ের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করা ছাড়া ইন্ডিয়া শিবিরের সদস্য দলগুলির কাছে আর কোনও উপায় নেই ৷ তিনি অত্যন্ত একপেশে ভাবে রাজ্যসভা পরিচালনা করছেন ৷ ‘ইন্ডিয়া’র দলগুলির কাছে এটা খুবই বেদনাদায়ক ৷ সংসদীয় গণতন্ত্রের স্বার্থে আমরা এই পদক্ষেপ করতে বাধ্য হয়েছি ৷” তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ এবং উপনেতা সাগরিকা ঘোষ বলেন, “সবাই এই নোটিশে স্বাক্ষর করেছেন ৷ উপ-রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে এই প্রস্তাব নিয়ে আসা হয়েছে ৷ আমাদের কাছে জেতার যথেষ্ট সংখ্যা নেই ৷ কিন্তু সংসদীয় গণতন্ত্রের জন্য এটা একটা শক্তিশালী বার্তা ৷ এই লড়াই কোনও ব্যক্তিবিশেষের বিরুদ্ধে নয়, প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ৷” রাজ্যসভায় বিরোধী দলের নেতা-নেত্রীদের সঙ্গে চেয়ারম্যান জগদীপ ধনকড়ের মনোমালিন্য নতুন কিছু নয় ৷ সম্প্রতি সেই আগুনে ঘি ঢালে কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি সোনিয়া গান্ধির সঙ্গে জর্জ সোরসের যোগাযোগের বিষয়টি ৷ চেয়ারম্যান ধনকড় সরকার পক্ষের সাংসদদের এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনার অনুমতি দেন ৷ এদিকে তিনি বিরোধী দলগুলির আলোচনার দাবি মেনে নেননি ৷ এতে চটে যান কংগ্রেস-সহ বিরোধী দলগুলির সাংসদরা ৷