পাক হামলায় মৃত ৪ নাবালক সহ ১৩ সাধারণ ভারতীয় নাগরিক, শহিদ এক জওয়ান
মঙ্গলবার মধ্যরাতে অপারেশন সিন্দুর চালিয়েছে ভারতীয় সেনা। এই প্রত্যাঘাতে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ৯টি জঙ্গিঘাঁটি। কিন্তু আতঙ্কে কাঁপতে কাঁপতেও বদলা নিতে মরিয়া নেওয়ার ষড়যন্ত্র করেছে পাকিস্তান। মধ্যরাতে অপারেশন সিন্দুরের পরই ভারতীয় সীমান্তে নির্বিচারে গুলি বৃষ্টি করে পাক সেনা। এলওসি বরাবর এই হামলা চালানো হয়। জম্মু ও কাশ্মীর পুলিস সূত্রে খবর, ভারী গোলাবর্ষণের জেরে জম্মু ও কাশ্মীরের পুঞ্চ এবং তাংধর এলাকায় ১৩ জন ভারতীয়ের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। আহত হয়েছেন আরও ৭৬ জন। তাঁরা প্রত্যেকেই নিরীহসাধারণ নাগরিক। মৃতদের মধ্যে রয়েছে ৪ নাবালকও। জানা গিয়েছে, ‘অপারেশন সিন্দুর’ শুরু করার পরপরই এই হামলা চালানো হয়। এর জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয় বহু ঘর-বাড়িও। প্রতিরক্ষা সূত্রে খবর, পাকিস্তানি সেনার এই গুলিবর্ষণের পর পাল্টা জবাব দেয় ভারতীয় বাহিনীও। যার ফলে কুপওয়ারা এবং রাজৌরি-পুঞ্চ সেক্টরে একাধিক পাকিস্তানি সেনা পোস্টের উল্লেখযোগ্য ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ভারতীয় সেনার তরফে জানানো হয়েছে পাকিস্তান সেনার ছোড়া গুলিতে শহিদ হয়েছে দীনেশ কুমার নামে এক সেনা জওয়ানের। পাকিস্তানি গুলিতে ভারতীয় নাগরিকদের মৃত্যুর পরই পদক্ষেপ নিয়েছে নয়াদিল্লিও। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ নিয়ন্ত্রণ রেখা এবং আন্তর্জাতিক বর্ডারের কাছাকাছি এলাকার বেসামরিক লোকদের দ্রুত সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এলওসি-তে কড়া নজর রেখেছে ভারতীয় বাহিনী।










