গোপন সম্পর্কের কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিল সঙ্গী। তার জেরেই গত সোমবার হরিদেবপুর সেই সঙ্গীর বাড়ির সামনে গায়ে আগুন দিয়ে আত্মঘাতী হন ভবনীপুরের এক মহিলা। মৃত্যুকালীন জাবানবন্দিতে ওই মহিলা জানান, সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছিলেন। কিন্তু হুমকি দেন তাঁর সঙ্গী। সেই ঘটনায় মহিলার সঙ্গী সুবীর বিশ্বাসকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ঘটনার পরই ভিন রাজ্যে পালিয়ে গিয়েছিল অভিযুক্ত সুবীর বিশ্বাস। আজ হরিদেবপুরে এক ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা নিতে এসেছিল। তখনই তাকে ধরে ফেলে পুলিশ। টাকা নিয়ে ফের পালানোর ছক কছেছিল সে। হরিদেবপুরের ৫০৫ নম্বর ব্যানার্জি পাড়ায় থাকত সুবীর বিশ্বাস নামে ওই অভিযুক্ত ব্যক্তি। যে মহিলা তাঁর বাড়ির সামনে আত্মঘাতী হন তাঁর বাড়ি ভবানীপুরে। কয়েক বছর আগে আলাপের সূত্রে ওই মহিলার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ২০১৭ সালে ওই মহিলার স্বামীর মৃত্যু হয়। তার পর তাঁর আলাপ হয় সুবীর বিশ্বাসের সঙ্গে। সম্প্রতি ওই মহিলা সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছিলেন। কিন্তু সুবীর বিশ্বাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছিলেন না। সুবীর হুমকি দেন সম্পর্ক না রাখলে তাদের গোপন সম্পর্কের কথা, ভিডিও ও ছবি তিনি ভাইরাল করে দেবেন। ওই কথা শোনার পরই সোমবার ভবানীপুর থেকে ওই মহিলা হরিদেবপুরে আসেন এবং প্রকাশ্যে গায়ে আগুন দেন। পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালীন জবানবন্দিতে তিনি সুবীর বিশ্বাসের কথা বলেন। সেই ভিত্তিতেই সুবীর বিশ্বাসের বিরুদ্ধে আত্মহত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়। তদন্তে উঠে এসেছে, মৃত মহিলা বিধবা। অন্য়দিকে সুবীর বিবাহিত। তবে স্ত্রীর সঙ্গে থাকতেন না তিনি। হরিদেবপুরের ওই বাড়িতে আলাদা থাকতেন। পুলিশের অনুমান ছিল ওই মহিলার সঙ্গে বিবাহ-বর্হিভূত সম্পর্ক ছিল সুবীরের। কিন্তু সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছিলেন ওই মহিলা। সেকারণেই অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি ভাইরাল করার হুমকি। এনিয়ে আত্মহত্যায় প্ররোচনায় দেওয়ার অভিযোগে মামলা দায়ের করে পুলিশ।