দেশ

‘কংগ্রেস-এনসিপির সঙ্গ ছাড়ব, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মুম্বই ফিরুন’, বিক্ষুব্ধদের ফেরাতে বার্তা শিবসেনার

বিক্ষুব্ধদের দাবি মেনে কংগ্রেস-এনসিপির সঙ্গ ছাড়তে রাজি হয়েছে শিবসেনা৷ কিন্তু তার আগে বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের মুম্বই ফিরে আসতে হবে বলে জানিয়ে দিলেন দলের মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত৷ বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, ‘মহা বিকাশ আগাড়ি সরকার থেকে বেরিয়ে আসতে শিবসেনা তৈরি৷ কিন্তু বিক্ষুব্ধদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মুম্বই ফিরে আসতে হবে৷’ কং-এনসিপির সঙ্গ ছেড়ে বিজেপির সঙ্গে হাত মেলানোর দাবি তুলেই মহারাষ্ট্র ছেড়ে অসমের রাজধানী গুয়াহাটিতে ঘাঁটি গেড়েছেন একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বে শিবসেনার বহু বিধায়ক৷ শিন্ডের দাবি, তাঁর সঙ্গে ৪৪ জন বিধায়কের সমর্থন রয়েছে৷ কিন্তু রাজ্যপাল ও ডেপুটি স্পিকারের কাছে যে চিঠি তিনি পাঠিয়েছেন তাতে সই রয়েছে ৩৪ জন বিধায়কের৷ তাদের মধ্যে শিবসেনার বিধায়ক ৩০ জন৷ গতকাল আরও ৫ জন বিধায়ক গুয়াহাটি উড়ে যান৷ তাদের মধ্যে তিনজনই নির্দল বিধায়ক৷ মহারাষ্ট্র থেকে আরও বিধায়ক যোগ দিচ্ছেন শিন্ডে শিবিরে৷ সব মিলিয়ে এই মুহূর্তে শিন্ডের কাছে দলের ৩৭ জন বিধায়কের সমর্থন রয়েছে বলে দাবি ওই শিবিরের৷ এরপর গুয়াহাটিতে সমস্ত বিধায়কের সঙ্গে বৈঠক করেন একনাথ শিন্ডে৷ সেই বৈঠকে একনাথের সঙ্গে ৪২ জন বিধায়ককে দেখা গিয়েছে৷ খোদ বিধায়করা বিদ্রোহী হয়ে ওঠায় সম্ভবত এই প্রথম দলের প্রতি উদ্ধবের কর্তৃত্ব চ্যালেঞ্জের মুখে৷ গতকাল ফেসবুক লাইভে উদ্ধব বলেই ফেলেছিলেন, ‘২৫ বছর শিবসেনা, কং-এনসিপির বিরুদ্ধে লড়াই করেছে৷ কিন্তু তারা যেটা করেনি সেই বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন দলের বিধায়করা৷’ এখন প্রয়াত বাল ঠাকরের তৈরি দলের রাশ নিজের হাতে রাখতে মরিয়া শিবসেনা সুপ্রিমো৷ অন্যদিকে শিন্ডে শিবিরের তরফে বারবার জানানো হয়েছে, তারা চান না মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে উদ্ধব ইস্তফা দিন৷ তাঁদের দাবি, তিনি বিজেপির সঙ্গে জোট করে আবার নতুন করে সরকার গঠন করুন৷ যদিও শিবসেনা এই বিষয়ে মুখে কোনও রা কাড়ছে না৷ সঞ্জয় রাউত এদিন বলে দেন, বিক্ষুব্ধদের আগে মুম্বই ফিরে আসতে হবে৷ ২৪ ঘণ্টা তাদের সময় দেওয়া হল৷ এদিকে, রাউতের মন্তব্যের পর নড়েচড়ে বসেছে মহারাষ্ট্র কংগ্রেসও। শিবসেনার আরেক জোটসঙ্গীর প্রদেশ সভাপতি নানা পাটোলে বলেছেন, “আমরা বিজেপিকে ক্ষমতায় আসা আটকাতে শিবসেনার সঙ্গে আছি। ইডি-র কারণে এই খেলা হচ্ছে। কংগ্রেস আস্থা ভোটের জন্য তৈরি। শিবসেনা যে কোনও দলের সঙ্গে জোট করতে পারে। আমাদের কোনও সমস্যা নেই।” অন্যদিকে, শিবসেনার দুই বিধায়ক কৈলাস পাটিল এবং নীতিন দেশমুখ পালিয়ে এসেছেন গুজরাট থেকে। তাঁদের এদিন সংবর্ধনা দেয় দল। সাংসদ প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী জানিয়েছেন, “আরও বিধায়করা চলে আসবেন। তাঁদের জোর করে আটকে রাখা হয়েছে। বাকিরা এক এক করে চলে আসবেন।”